আচার, চাটনি, দই, পান্তার মতো মজানো বা ফারমেন্টেড খাবার পছন্দ অনেকের, আবার কেউ কেউ পছন্দ করে না এ ধরণের খাবার। খেতে ভালো লাগলেও অ্যাসিডিটির কারণে এমন খাবার এড়িয়ে চলেন তারা।
মজানো খাবার খেলে অনেকেরই গলা-বুক জ্বালাপোড়াসহ মুখ টক হয়ে দাঁত শিরশির করে। তবে মুখের স্বাদ বাড়াতে বিকল্প নেই এ ধরনের খাবারের।
খাবার মজানো বা ফারমেন্ট করা একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া। শুধু মুখের স্বাদ বাড়াতেই নয়, খাবার সংরক্ষনেও এ প্রক্রিয়ার ব্যবহার দীর্ঘদিনের। আগেকার দিনে খাদ্য সংরক্ষণের বহুমাত্রিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় খাবার মজিয়ে বা ফারমেন্ট করেই করা হতো খাদ্য সংরক্ষণ।
মজানো খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বাড়লেও এর কোনো উপকারিতা নেই, এমনটি নয়।
পুষ্টিবিদদের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপের সঙ্গে অন্ত্রের সরাসরি যোগ রয়েছে। শরীর সামগ্রিকভাবে ভালো রাখতে অন্ত্রে থাকা ব্যাক্টেরিয়াগুলোর পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এ ধরণের খাবার।
মজানো খাবারের উপকারিতা-
- অন্ত্রের ভেতরে থাকা ভালো ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি করে
- খাবারের বিভিন্ন যৌগ (আয়রন, জিংক ইত্যাদি) শোষণে সাহায্য করে
- রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- শরীরে প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে
দেশীয় প্রেক্ষিতে আচার, দই, পান্তাসহ ভারতের জনপ্রিয় ধোকলা, ইডলি, ডোসা জাতীয় খাবার মজানো বা ফারমেন্টেড খাবারের তালিকায় অন্যতম।
এ ধরণের খাবারে হালকা অ্যাসিডিটির মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও তা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই নিজের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার যোগ করতেই পারেন।