বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালের লিফট ভেঙে বের করা হলো ২৫ জনকে

  • প্রতিনিধি, শেরপুর   
  • ২২ জুলাই, ২০২৩ ১০:১০

শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও খায়রুল কবীর সুমন জানান, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত লোক উঠে পড়ায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। লিফট পরিচালনার জন্য দুইজন লোক রয়েছে। এ কাজে জনবল বাড়ানো হবে।

শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়া ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস, যাদের মধ্যে ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের আট তলা ভবনের একটি লিফটে পরিচালনার কোনো লোক না থাকায় ১৪ জনের জায়গায় অন্তত ২৫ জন ওঠেন, কিন্তু ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী লিফটে থাকায় ভবনের নিচ তলায় এসে এটি আটকে যায়। ওই সময় লিফটের ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনরা আতঙ্কে চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে থাকেন।

ঘটনার অন্তত ৪০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে লিফটের দরজা ভেঙে সবাইকে উদ্ধার করে। এর মধ্যেই অন্তত ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আর দরজা ভেঙে ফেলায় লিফটটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

লিফটে আটকে পড়া রোগীর আত্মীয় সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমাদের রোগী চার দিন থেকে জ্বরে ভুগতেছিল। হাসপাতালে আনছি ভর্তি করানোর জন্য। জরুরি বিভাগে ভর্তি করে রোগী নিয়ে লিফটে ৬ তলায় ওঠার সময় আমরা আটকে পড়ি।

‘লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে অনেকবার কল করেও কোনো সাড়া পাইনি। অনেকক্ষণ আটকে থাকার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমাদের রোগীও মারা যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আমাদের উদ্ধার করে।’

আরেক রোগীর মা আমেনা বলেন, ‘লিফট চালানোর লোক নাই। লিফট চালানোর লোক থাকলে এ অবস্থা হতো না। আজকে আমার ছেলে মারা যাইত, আমিও মারা যাইতাম।

‘আমরা নিচ তলা থেকে ওপরে ওঠার জন্য লিফটে চাপ দিছি। পরে মাঝখানে এসে বন্ধ হয়ে গেছে।’

লিফটের আটকে পড়া মো. নাঈম বলেন, ‘লিফট পরিচালনার লোক না থাকায় মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছিল আমাদেরকে। এমন লিফট আটকের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

লিফটে আটকে পড়াদের অভিযোগ, ঘটনার সময় লিফটম্যান হাসপাতালে ছিলেন না। লিফটম্যানের অবহেলার কারণে এর আগেও একাধিকবার লিফট আটকে গিয়েছিল।

লিফটম্যান শফিকুল ও আতিকুল তাদের না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ঘটনার সময় তারা হাসপাতালের মসজিদে জুমার নামাজ পড়ছিলেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও খায়রুল কবীর সুমন জানান, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত লোক উঠে পড়ায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। লিফট পরিচালনার জন্য দুইজন লোক রয়েছে। জনবল বাড়ানো হবে।

ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. জসিম উদ্দিন।

এ বিভাগের আরো খবর