বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আঁখি হত্যা’র বিচার চেয়ে মন্ত্রণালয়ে মায়ের চিঠি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ জুলাই, ২০২৩ ২৩:০৯

নবজাতক ও মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন আঁখির মা নুরজাহান আক্তার।

সেন্ট্রাল হসপিটালে নবজাতক ও মা মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন আঁখির মা নুরজাহান আক্তার।

বুধবার রাতে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী।

চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি নূর জাহান আক্তার। স্বামী মৃত. মাহাবুবুর রহমান মজুমদার। সেন্ট্রাল হসপিটালে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাহাবুবা রহমান আখিঁর হতভাগা মা। গত ৯ জুন দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারোটার সময় মাহাবুবা রহমান শারীরিক প্রশান্তি প্রকাশ করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।

‘হাসপাতালের নার্সরা তাকে চেক-আপ করে ভর্তি করায়। এক ঘণ্টা পর পর তাকে নার্সরা অনেক চেক-আপ করে। বিকেলে একটি স্যালাইন দেয়। সন্ধ্যার পর নার্সরা জানায়, প্রসব ব্যথা হতে পারে, ব্যথা বাড়তে সারা রাত লাগবে এবং সকাল হতে পারে। আপনারা পাশের প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন। তারপর আমরা ডা. সংযুক্তা সাহার সিরিয়াল নিয়ে মাহাবুবা রহমানকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ঢাকার সেন্ট্রাল হসপিটালে নিয়ে যাই।

‘আমরা রাত প্রায় ১০টার সময় তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় সেন্ট্রাল হসপিটালের উদ্দেশে রওনা হই। তিতাস হাসপাতালে থাকা অবস্থায় আমার কন্যা মাহাবুবা রহমানকে তিতাস হাসপাতালের কোনো ডাক্তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করেননি এবং কোনো পরামর্শও দেননি। আমরা কোনা ডাক্তারকে দেখিনি। আমার মেয়ে মাহাবুবা রহমানকে তিতাস হাসপাতালের ইমার্জেন্সি রুমে প্রবেশ করানো হয়নি। নার্সরা আমার মেয়েকে দোতলায় নিয়ে চেক-আপ করেছে। ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন বা ছাড়পত্র কিছুই আমাদের দেয়নি। আমরাও চাইনি। মৌখিকভাবে বলে চলে যাই।

‘সেন্ট্রাল হসপিটালের লেবার ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে লেবার ওয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করতে দিলেও পাশের একটা রুমে বসে অপেক্ষা করতে বলে। তারা আমার মেয়ে থেকে আমাকে আলাদা করে। আমি কয়েকবার দেখার চেষ্টা করি এবং আমার মেয়েকে ব্যায়াম করতে দেখি। প্রায় ৪৫ মিনিট আমার মেয়েকে তারা ব্যায়াম করায়। ডাক্তাররা তাকে জোরে জোরে ব্যায়াম করতে বলে। আমার মেয়ে ব্যায়াম করতে পারবে না বললে ডাক্তারা তাকে বকা দেয়। এভাবে অত্যাচার করে তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে। আমি আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।’

প্রেক্ষাপট

অন্তঃসত্ত্বা মাহবুবা রহমান আঁখিকে ৯ জুন কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে এনে রাজধানীর গ্রিনরোডস্থ সেন্ট্রাল হসপিটালে ভর্তি করা হয়।

আঁখির পরিবারের ভাষ্য, তাকে ভর্তি করা হয় চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে।

তবে সংযুক্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি সে সময় দেশের বাইরে ছিলেন।

অন্য চিকিৎসকরা আঁখির স্বাভাবিক প্রসব করাতে ব্যর্থ হয়ে পরে অস্ত্রোপচার করেন। সেসময় নবজাতকের মৃত্যু হয়; সংকটাপন্ন হয়ে পড়েন আঁখি নিজেও। নবজাতকের এক সপ্তাহ পর তারও মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী মামলা করলে সেন্ট্রাল হসপিটালের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল হসপিটালে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংযুক্তা সাহাও হাসপাতালে আপাতত কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ বিভাগের আরো খবর