বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে ৫ বছরে সিজারিয়ান ডেলিভারি বেড়েছে ১১ শতাংশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ২১:৫৯

বিডিএইচএস-২০২২ এর প্রতিবেদনের তথ্য- বাল্যবিয়ে, দরিদ্র নারীর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, গর্ভকালীন সেবা, শিশৃমৃত্যু, দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রসবের মতো অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিগত ৫ বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।

দেশে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য, বাল্যবিয়ে, শিশু মৃত্যু, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রসব- এমন নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে একইসঙ্গে বেড়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মদান। পাঁচ বছরে তা বেড়েছে ১১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস)-২০২২ এর প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেচে।

রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) আয়োজনে মঙ্গলবার এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।

তাতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৫ শতাংশ হয়েছে। সে হিসাবে ৫ বছরে এই বৃদ্ধির হার ১১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের ফলাফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দেশে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশু স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতির চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

নিপোর্ট-এর মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এবং ইউএসএইড বাংলাদেশের পরিচালক (পপুলেশন, হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন) ক্যারি রাসমুসেন।

জরিপের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় দরিদ্র নারীর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার বেড়েছে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের তুলনায় বিত্তবান নারীদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের মাত্রা ছয়গুণ বেশি ছিল। ২০২২ সালে এসে দরিদ্র নারীদের তুলনায় বিত্তবানদের সেবা গ্রহণ দ্বিগুণ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ধারাবাহিক তিন বছরের গড় অনুযায়ী, ৫ বছরের নিচে জীবিত শিশু জন্মের পর মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪৩ থেকে ৩১-এ নেমে এসেছে। এক বছরের কম বয়সের শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৫ জন এবং এক মাসের কম বয়সের শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০ জন।

পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অর্থাৎ সঠিক বৃদ্ধি ঘটছে না এমন শিশুর হার ৩১ থেকে ২৪ শতাংশে নেমেছে। তবে কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুর হারে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রসবের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ প্রসবই দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় হয়েছে। এ ছাড়া ৬৫ শতাংশ প্রসব কোনো না কোনো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হয়েছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ৫১ শতাংশ।

৮৮ শতাংশ নারী অন্তত একবার একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে গর্ভকালীন বা এএনসি সেবা নিয়েছেন। ২০১৭ সালে এই হার ছিল ৮২ শতাংশ। তবে করোনাকালে চারবারের অধিক গর্ভকালীন সেবা বা এএনসি গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে কমে ৪১ শতাংশে নেমে এসেছিল।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, জন্ম বিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহারের হার ২ শতাংশ বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৩ শতাংশ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।

২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী কিশোর বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ার হার কমেছে। ২০১৭ সালে এ হার ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে ২৩ শতাংশ হয়েছে।

অল্প বয়সে বিয়ের হারও ধীরে ধীরে কমছে। ১৮ বছরের আগে বিয়ে হওয়ার হার ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা কমে ৫৯ শতাংশ হয়। আর ২০২২ সালে তা ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রাথমিক ফলাফলে বলা হয়, মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। ৯৯ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ আছে, ৯৮ শতাংশ ঘরে কারও না কারও মোবাইল ফোন আছে। ৬০ শতাংশ বাড়িতে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর