হার্টের রোগ বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতি কিংবা বড় ধরনের শারীরিক জটিলতা এড়াতে সচেতন হতে হবে খাদ্য নির্বাচনে। হার্টের রোগীদের কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, তা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডায়েট সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী হার্টের রোগীরা অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে চান। বিশেষত হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এটা বেশি সত্য।
হার্টের রোগীদের কোন ধরনের খাবার খাওয়া সীমিত করা বা এড়িয়ে চলা উচিত, তার সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা নিচে দেয়া হলো।
১. ফাস্ট ফুড
২. ভাজাপোড়া
৩. ক্যানে থাকা খাবার (এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম অতিরিক্ত লবণ ছাড়া শাকসবজি ও শিমজাতীয় খাবার)
৪. লজেন্স
৫. চিপস
৬. প্রক্রিয়াজাতকৃত ফ্রোজেন খাবার
৭. বিস্কুট ও কেক
৮. আইসক্রিম
৯. মেয়নেজ, কেচআপ
১০. লাল মাংস (খেলেও সামান্য পরিমাণে)
১১. অ্যালকোহল
১২. হাইড্রোজেনযুক্ত ভেজিটেবল অয়েল (এগুলোতে ট্রান্স ফ্যাট থাকে)
১৩. প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস
১৪. পিৎজা, বার্গার ও হট ডগ।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়ার সীমা নির্ধারণ করতে হবে। রোজকার মোট ক্যালোরির ৬ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয় স্যাচুরেটেড ফ্যাট। আপনার উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল থাকলে বিষয়টি মাথায় রাখা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এএইচএ) পরামর্শ হলো দিনে ২ হাজার ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম না খাওয়া।
এএইচএর মতে, বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের উচিত হবে সোডিয়াম গ্রহণ দেড় হাজার মিলিগ্রামে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা।
চা, কফি
কফি কিংবা চায়ের মতো পানীয় আপনার হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর কি না, তা চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করুন। বাড়তি কোনো ক্রিম বা চিনি ছাড়া পরিমিত পরিমাণে এসব পানীয় পান করতে পারেন।