কিছু ঘাটতি ও দুর্বলতার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মানুষ গ্যাস থেকে বা বিভিন্নভাবে আগুনে দগ্ধ হচ্ছে। আগুন যেন না লাগে সেদিকে সতর্কতা বাড়াতে হবে। আহতদের অনেককেই ঢাকায় আনতে হচ্ছে। তাই শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট ছাড়াও সব ক্ষেত্রে এই রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। জেলা পর্যায়ে এই সেবা দিতে হবে।
রোববার লা মেরিডিয়ানে হেলথ বুলেটিন-২০২০ এর মোড়ক উন্মোচন ও সিম বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাই সব উন্নত টেকনোলজি চালু করেছেন। শিক্ষিত ও স্মার্ট জনগণ নিয়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। পুরো হেলথ সেক্টরের কার্যক্রমই হলো হেলথ বুলেটিন। এর মাধ্যমেই জানা যাবে হেলথ সেক্টরে কী উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের এখন লক্ষ্য ডিজিটালাইজেশন। অনুমোদন হয়ে গেলেই আমরা কাজ শুরু করব।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত ৩ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাজ করেছেন। স্বাস্থ্য খাতেও অনেক কাজ করেছেন। স্বাস্থ্যসেবার মান যাতে ভালো হয় সে জন্য এই সেবায় জড়িতদের প্রতি তিনি সম্মান দেখিয়েছেন। ডাক্তারদের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এসেছেন।’
উপস্থিতদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার অনেক উন্নয়নের কথা আপনারা জানেন না। হেলথ-এর আইটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। আইটির মাধ্যমে আমরা করোনার সময় নানাভাবে সেবা দিয়ে এসেছি৷ টেলিমেডিসিন, ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে রোগী দেখা হয়েছে। আমরা আটটি ডিভিশনেই মানসম্মত সেবাদানের জন্য হাসপাতাল করতে চাই। এটাই আমাদের স্বপ্ন।
‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা এর মান নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে এখনও আত্মবিশ্বাসের কিছুটা অভাব রয়েছে। আমরা যদি ভালো সেবা দেই, হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি, ভালো ব্যবহার করি তাহলেই মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য সচিব আতিকুর রহমান, অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আরও অনেকে।