হার্টের রোগ বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতি কিংবা বড় ধরনের শারীরিক জটিলতা এড়াতে সচেতন হতে হবে খাদ্য নির্বাচনে। হার্টের রোগীর খাবার কেমন হওয়া উচিত, তা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। কিছু খাবার হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে।
১. ফলমূল ও শাকসবজি
২. বাদাম ও বীজ
৩. শিম ও মটরজাতীয় খাবার
৪. মাছ ও সামুদ্রিক খাবার
৫. লাল চাল, লাল আটার মতো খাবার
৬. অলিভ অয়েলের মতো তেল
৭. ডিম (সপ্তাহে ছয়টি পর্যন্ত খাওয়া যাবে)
৯. কম ফ্যাটযুক্ত মাংস
১০. চামড়া ছাড়া মুরগি
এসব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম ও বাড়তি চিনি কম থাকে। উল্লিখিত উপাদান বেশি থাকা খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সতেজ শাকসবজি
প্রকৃতি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে সর্বোচ্চ সুফল মিলতে পারে।
মাছ
হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের জন্য সর্বোত্তম খাবারগুলোর একটি মনে করা হয় মাছকে। তৈলাক্ত মাছকে সবচেয়ে ভালো মনে করা হয় এ কারণে যে, এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
পানীয়
পানীয়র ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বাছাই হলো পানি।
তালিকাবদ্ধ খাবার
হার্টের রোগীরা চাইলে প্রতিদিন তালিকাবদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে এগোনো উচিত। তালিকাবদ্ধ কিছু খাবার নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা থাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ নজর কেড়েছে ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট। দীর্ঘদিনের গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েটের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, মটর, মাছ, শিম ও দানাদার খাবার এবং প্রচুর তাজা শাকসবজি ও ফল। দুধ, মাংসও থাকতে পারে পরিমিত পরিমাণে।
ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েটে ওলিভ অয়েলের মতো উদ্ভিজ্জ তেলও রয়েছে।
উদ্ভিদভিত্তিক খাবার
উদ্ভিদভিত্তিক ডায়েটে মাংস অতি সামান্য থেকে একেবারে না খাওয়ায় নজর দেয়া হয়। এতে ফলমূল ও শাকসবজি, দানাদার খাবার, মটরজাতীয় ও অপ্রাণিজ খাবারে জোর দেয়া হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার পাশাপাশি ক্যানসার, স্ট্রোক, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো রোগ এড়াতে উদ্ভিদভিত্তিক খাবার খেতে বলা হয়।
কম মাংস খাওয়ার অর্থ হলো কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল খাওয়া।