বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি হাসপাতালে ‘নীরবে টাকা আদায়’

  •    
  • ১ মার্চ, ২০২৩ ১১:৩১

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাকে ভর্তি করা বাবু নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো ডাক্তার, নার্স আসছেন না। ডাক্তাররা ভালো ব্যবহার করলেও প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয় ওয়ার্ড বয় ও আয়াদের কাছে। টাকা না দিলে তারা কোনো হেল্প করতে চায় না; আবার খারাপ ব্যবহার করে। মায়ের এমন অবস্থা যে, খুব দ্রুত চিকিৎসা দরকার। দুই ঘণ্টা ধরে ছোটাছুটি করছি। কেউ এগিয়ে আসছে না।’

রাজধানীর রায়ের বাজার থেকে অসুস্থ মাকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন মো. বাবু। তার মায়ের পায়ুপথ দিয়ে ক্রমাগত রক্ত ঝরছিল।

মাকে একটু স্বস্তি দিতে কেবিনের জন্য কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধ করেও তা মেলাতে পারেননি বাবু। তাকে নিয়ে অবস্থান করতে হয় বারান্দায়।

সম্প্রতি নিউজবাংলাকে বাবু বলেন, ‘কোনো ডাক্তার, নার্স আসছেন না। ডাক্তাররা ভালো ব্যবহার করলেও প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয় ওয়ার্ড বয় ও আয়াদের কাছে।

‘টাকা না দিলে তারা কোনো হেল্প করতে চায় না; আবার খারাপ ব্যবহার করে। মায়ের এমন অবস্থা যে, খুব দ্রুত চিকিৎসা দরকার। দুই ঘণ্টা ধরে ছোটাছুটি করছি। কেউ এগিয়ে আসছে না।’

একই অভিযোগ পুরান ঢাকা থেকে আসা মামুন চঞ্চলের। তিনি জ্বর ও হাত-পা ফোলা অবস্থায় থাকা মাকে ভর্তি করেন হাসপাতালটিতে।

মামুন চঞ্চল বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যালের মতো হাসপাতালে সারা দেশ থেকে রোগী আসে। অথচ এখানে নার্সদের, ওয়ার্ড বয় এবং আয়াদের ব্যবহার খারাপ। নার্সদের রোগীর সঙ্গে ব্যবহারের ওপর আলাদা ট্রেনিং দেয়া প্রয়োজন। কারণ রোগী এবং তার সঙ্গে থাকা সবার মানসিক অবস্থা এমনিতেই ভালো থাকে না।

‘আবার ক্যাথেটার লাগানো নিয়েও তাদের কাছে ভোগান্তি। একটা ক্যাথেটারের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, যেটা হাসপাতাল থেকে দেয়ার কথা, কিন্তু দেয় না। সেখানে একজন আয়া ক্যাথেটার লাগিয়ে দিতে দাবি করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।’

আরেকটি বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কেবিন তো মেলেই না, বরং ওয়ার্ডে একটা বেডে চারজন পর্যন্ত রাখতে দেখেছি!’

এত ছোট বেডে চারজন কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা সম্ভব করছেন। আমি দেখেছি। রোগী আসছে। নার্স বা আয়া তাদের বেডে ফেলে চলে যাচ্ছেন।

‘এদিকে সপ্তাহে দুই দিন সরকারি ছুটিতে ডাক্তার পাই না। আবার একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতেও পাব না। গত ৫ দিনে এগুলোই দেখছি। এই ভোগান্তি বন্ধ হওয়া জরুরি।’

সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পুরোনো। সম্প্রতি অব্যবস্থাপনার নতুন কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে, যা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নামে নিউজবাংলা।

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগী, স্বজন, ওয়ার্ড বয়, আয়া, নার্স ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক।

এক বেডে দুই রোগী

ঢাকা মেডিক্যালের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, একটি বেডে দুজন করে রোগী। যেখানে একজনই ভালোভাবে থাকতে পারেন না, সেখানে গাদাগাদি করে দুজন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘এ রকম অভিযোগ মাঝে মাঝেই শোনা যায়, কিন্তু আমাদের হাতে এটা না। হাসপাতাল প্রশাসন দেখে বিষয়গুলো।

‘আমাদের সামনে এ রকম কিছু চোখে পড়লে তখনই সতর্ক করে দিই। চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কোনো ত্রুটি রাখি না। অন্তত আমার জায়গা থেকে এটা বলতে পারি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাকালে মৃত্যু হয় শাপলা বড়ুয়ার মা নন্দিতা বড়ুয়ার, যিনি মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন।

হাসপাতালে মায়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে শাপলা বড়ুয়া অভিযোগ করেন, ‘আমার মা দেহদান করে গেছেন, কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতালে তার যে ভোগান্তি হয়েছে, অন্যান্য রোগীদের যে ভোগান্তি হয় সেগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না। হাসপাতালে নীরব চাঁদাবাজি চলে। আমি মেডিক্যাল অব্যবস্থাপনা দেখে এসেছি।

‘ওয়ার্ড বয়কে টাকা না দিলে আমার মাকে ডায়াপার পরাবে না। অনেক দিন বেডে থাকায় মায়ের মাংস খুবলে পড়েছে। সেই দৃশ্য আমাদের দেখতে হয়েছে। টাকা ছাড়া কেউ পরিষ্কার করবে না। সরকারি হাসপাতালে আমি কেন টাকা দেব তাদের?’

তিনি বলেন, ‘সকালবেলাতেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা তাদের দিতে হয়। আমার মা যেদিন মারা যান, আমাদের জানানো হয় তিনি নেই। আমরা জানিও না কখন মারা গেছেন।’

তিনি আরও বলেন, “পাশে আরেকজন রোগী ছিলেন। তিনি তার স্ত্রীকে বলেন, ‘আমাকে তো এখানে খাবার খেতে দেয় না।’ তখনই একজন নার্স দৌড়ে এসে ধমকে বলেন, ‘আপনিই তো খেতে চান না। আমরা দেই না বলছেন কেন?’ সঙ্গে সঙ্গেই ভদ্রলোক ভয় পেয়ে স্ত্রীকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই খেতে চাই না। তুমি কেন উনাদের বলো না কিছু।’ এভাবে ধমকাধমকি করা হয় রোগীদের। আমি প্রত্যেকটা রোগীকে কাঁদতে দেখেছি তাদের (নার্স) খারাপ ব্যবহারের জন্য। আমরা তো তাদের কাছে জিম্মি।”

বিএসএমএমইউর একটি ওয়ার্ডে থাকা এক রোগীর ভাতিজা শুভ বলেন, ‘আমরা ১৫ দিন ধরে কাকাকে নিয়ে আছি। কেউ খারাপ ব্যবহার না করলেও ডাক্তাররা একেক সময় একেক কথা বলছেন। কাকা উঁচু টেবিল থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছেন। শুরুতে হাত ভেঙে গেছে বলেছিলেন। অপারেশন করতে হবে।

‘পরীক্ষার পর আজ বললেন, কোমরের চোটের জন্য ফ্র‍্যাকচার আছে। হাতে অপারেশন লাগবে না; কোমরের জন্য অপারেশন করতে হবে। সে জন্য এক লাখ টাকা লাগবে। আমাদেরকে কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ বা সময় দেন না তারা। আগে বললে টাকাটা আগে ম্যানেজ করতে পারতাম।’

বিএসএমএমইউর অ্যাম্বুলেন্সের দায়িত্বে থাকা আলাউদ্দিন বলেন, ‘এ রকম টাকা আদায় অহরহ হয়। আমাদের এখানে একটু কম, তবে আমার চোখের সামনে দেখেছি।

‘যারা টাকা নেয়, তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেন। কেউ স্বীকার করবে না।’

অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের ভাষ্য

হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে ওয়ার্ড বয়, আয়াদের টাকা আদায় এবং নার্সদের খারাপ ব্যবহার নিয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

ওয়ার্ড বয়, নার্স ও আয়াদের ব্যবহার নিয়ে রোগীদের অভিযোগের প্রশ্নে ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে সেটার জন্য ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়। আমরা সবসময় স্পিকারে এবং সরাসরি তাদের নির্দেশনা দিই রোগী এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যেন কোনো রকম অসাদাচরণ না ঘটে। আর টাকা না দিলে কাজ না করার অভিযোগ হলে আমাদের কাছে অভিযুক্তের নাম ও পদবিসহ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা প্রমাণ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেব।

‘এর আগে অনেককেই বেতন বন্ধ করে এবং নানাভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে। সবাইকে গণহারে বললে কেউ শুনবে, কেউ শুনবে না।’

‘ক্যাথেটার হাসপাতালের দেয়ার কথা। সেটাও রোগীদের কিনতে হচ্ছে। আবার তা লাগিয়ে দিতেও টাকা দিতে হচ্ছে।’

উল্লিখিত বক্তব্যের জবাবে ঢামেকের পরিচালক সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাথেটারের অর্ডার দেয়ার নির্দেশ দেন, যা আগেও দেয়া ছিল।

অভিযোগের পর ক্যাথেটার বিনা মূল্যে দেয়ার বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেন পরিচালক। সেই সঙ্গে টাকা আদায়ের বিষয় খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি।

বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক রেজাউর রহমান বলেন, ‘যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের নম্বর এবং অভিযোগের ভিডিও লাগবে। অডিও দিলেও হবে না। কারণ অডিও চেক করার টেকনোলজি আমার কাছে নেই।

‘প্রমাণ ছাড়া প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। কাউকে শাস্তি দিতে গেলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণসহ থাকতে হবে।’

‘সাধারণ মানুষ তো ভিডিওতে সবাই কথা বলবেন না। আর তারা প্রশাসন পর্যন্ত যাওয়ার মানসিক অবস্থাতেও থাকেন না, রোগীকে নিয়ে চিন্তিত থাকেন বলে। অনেকে সাহসও পান না। আর শাস্তি না দিয়ে মুখে বললেও তো তারা সচেতন হবেন।’

উল্লিখিত বক্তব্যের জবাবে রেজাউর রহমান বলেন, ‘এভাবে আপনাদের কাছে না বলে আমাদের কাছে আসলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। প্রশাসন তো সে জন্যই রয়েছে, কিন্তু দুই-একজনের কথায় এভাবে সবাইকে বলার চেয়ে অভিযোগ পেলে ব্যাপারটা জোরদার করা সম্ভব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সে রকম অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব, তবে সুনির্দিষ্ট নাম থাকলে সহজ হয় কাজটা।’

‘সাধারণ মানুষ তো হাসপাতাল প্রশাসন পর্যন্ত যেতে পারেন না অথবা ভয় পান। সে ক্ষেত্রে আপনারা মৌখিকভাবেও নির্দেশনা দিতে পারেন কি না?’

উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, ‘সেটা অবশ্যই করা যায়। তাদেরকে বলা হয় সবসময়। আপনার নিয়ে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আবারও নির্দেশনা দেয়া হবে।’

বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট অনেককেই পাওয়া যায়নি ফোনে। কথা হয় অধিদপ্তরের মেডিক্যাল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. দেওয়ান মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ রকম অভিযোগ এর আগেও অনেকবার পাওয়া গিয়েছে, তবুও বন্ধ হচ্ছে না অনিয়ম।’

কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাগজে-কলমে তো সুনির্দিষ্টভাবে টাকা নেয়া বা খারাপ ব্যবহার করা যাবে না, সে রকম নির্দেশনা নেই, তবে অনিয়ম করা যাবে না, সেটা অবশ্যই বলা আছে।

‘আর এই অভিযোগগুলো অনিয়মের মধ্যেই পড়ে। আর এগুলো হসপিটালের ডিরেক্টর এবং প্রশাসনই দেখে থাকেন। তারাই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেন।’

এক বেডে দুই রোগী নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের ভাষ্য

কোনো ওয়ার্ডে এক বেডে দুই থেকে তিন রোগী রাখা হয়েছে। এ অভিযোগ নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক নাজমুল হক বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যালে ২ হাজার ৬০০ বেড আর কেবিন মাত্র ২০টা। এর চেয়ে বেশি রোগী আসলে তো আমার সিট দেয়া সম্ভব না। তারা তো অন্য কোথাও যায় না। অন্য হাসপাতালে কেবিন খালি থাকে।

‘তারা এখানেই এভাবে থেকে চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার তো কিছু করার নেই, তবে সিট ৫ হাজার করার সুপারিশ করা হয়েছে সরকারের কাছে। পেয়ে যাব প্রক্রিয়া শেষে।’

এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে কথা হয় নার্স, আয়া ও ওয়ার্ড বয়দের সঙ্গে। তাদের বেশির ভাগই বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ঢাকা মেডিক্যালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রিতা রাণী বলেন, ‘আপনি যে অভিযোগের কথা বলছেন, সেটা একেবারে হয় না, তা না। সবাই সমান না। অনেকেই খারাপ ব্যবহার করে। আমি নিজে তাদের বলি এভাবে রোগী বা অন্যদের সঙ্গে ব্যবহার না করতে।’

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে ইমারজেন্সিতে কাজ করেন আয়া মনি আক্তার। অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না। অনেকেই খারাপ ব্যবহার করে, কিন্তু আপনারা টাকা না দিলে আমাদের সংসার কীভাবে চলবে?’

‘আপনারা তো বেতন পান।’

উল্লেখিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মনি বলেন, ‘আমাদের সংসার তো এই ছয় হাজার টাকায় চলে না। রোগীর কেউ খুশি হয়ে বকশিস দিলে সেই টাকা দিয়া তেল, সাবান কিনি। কারও থেইকা জোর কইরা নিই না।’

এ বিভাগের আরো খবর