বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খারাপ কোলেস্টেরল কমবে যেসব খাবারে

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৩:১২

চিকিৎসকরা জানান, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে মূলত দুটি কারণে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এর মূল কারণ।

বয়স বাড়লে শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল। মানুষের দেহে খারাপ এবং ভালো দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকতে পারে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বিপদের লক্ষণ।

দুই ধরনের কোলেস্টেরলগুলো হলো- ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এইচডিএল’ এবং ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা ‘এলডিএল’।

এইচডিএল ভালো কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত, তবে এলডিএলকে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়। এ খারাপ কোলেস্টেরল শরীরের ক্ষতি করে। সংবহনতন্ত্রের সমস্যার জন্ম দেয়। সেই সঙ্গে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।

চিকিৎসকরা জানান, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে মূলত দুটি কারণে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এর মূল কারণ।

তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখলে এ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ওটস

ওটসে ভরপুর মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ ‘সলিউবল ফাইবার’ খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায়।

কমলালেবু

ভিটামিন সি-তে ভরপুর কমলালেবু। এ ভিটামিন শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কমলালেবুতে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার। এ প্রকার ফাইবার কোলেস্টেরল কমায়।

আপেল

কোলেস্টেরল বা হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকরা রোগীদের আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আপেল হৃদ‌যন্ত্রে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। পাশাপাশি, কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মাছ

মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে বেশ উপকারী। সেক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখতেই হবে।

রসুন

রসুন খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

বাদাম

ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ দূর করতে সাহায্য করে বাদাম।

ডাবের পানি

বিভিন্ন খনিজ পদার্থে পূর্ণ ডাবের পানি ক্লান্ত শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে এবং সতেজ রাখে। এক কাপ (২৪০ মিলি) ডাবের পানিতে আছে ৬০ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮ গ্রাম চিনি।

এ ছাড়া দৈনিক চাহিদার ৪% ক্যালসিয়াম, ৪% ম্যাগনেসিয়াম, ২% ফসফরাস এবং ১৫% পটাশিয়ামও পাওয়া যায়।

কিডনিতে পাথর হওয়া রোধেও ডাবের পানি উপকারী। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। তাছাড়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো, রক্তচাপের মাত্রা কমানো এবং স্বাভাবিক রাখাতেও এই পানীয়র জুড়ি নেই।

এ বিভাগের আরো খবর