প্রতি বছরই ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অপরিণত বয়সীরা বেশি ভুগছে ব্লাড ক্যানসার বা লিউকেমিয়ায়।
বিএসএমএমইউতে বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যানসার দিবস উপলক্ষে ‘বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন চিলড্রেন অ্যান্ড ক্যানসার ভ্যাকসিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগন্যান্সি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে ক্যানসারের চিকিৎসায় অসমতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যানসারের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিশু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। দ্রুততম সময়ে শনাক্তের পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী সেরে উঠতে পারে। উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার থেকে সেরে ওঠা রোগীর হার শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেয়াসহ গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
‘প্রতি বছরই ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। শিশুদের সাধারণত ব্লাড ক্যানসার বা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেশি। এ ছাড়াও কিডনির টিউমার, লিভারের টিউমার, চোখের টিউমার, ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয়।’
ক্যানসার চিকিৎসায় স্টেম সেল প্রতিস্থাপন প্রয়োগ নিয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘কিছু গুরুতর ক্যানসারের চিকিৎসায় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন বা স্টেম সেল প্রতিস্থাপন একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। উন্নত বিশ্বে এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে চিকিৎসা সফলতার হার বেড়ে গেছে।
‘বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে, কিন্ত তা এখনও পুরোদমে শুরু করা যায়নি বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে।’