রাজধানীতে সারাহ ইসলাম ও নন্দিতা বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহদান নিয়ে আলোচনার মধ্যে জামাল উদ্দিন নামের আরেকজনের অঙ্গদানের খবর পাওয়া গেল, যিনি থাকতেন মিরপুরে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ৬২ বছর বয়সে প্রাণ হারানো জামালের দুটি কর্নিয়া সংগ্রহ করে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করে জামাল উদ্দিনের ছেলে জাহিন জামাল বলেন, তার বাবা রোটারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। ডায়াবেটিসজনিত নানা জটিল রোগে ভুগে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জাহিন আরও জানান, এক মাস আগে অসুস্থ অবস্থায় পরিবারকে মরণোত্তর দেহদানের কথা জানিয়েছিলেন তার বাবা। তার দুটি কর্নিয়া কারা পাবেন, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জামালের কর্নিয়া সংগ্রহের আগের দিন বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যানাটমি বিভাগের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ ঢাকার বাসাবোর বাসিন্দা নন্দিতা বড়ুয়ার মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন।
বিএসএমএমইউর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নন্দিতা বড়ুয়ার মৃত্যু হয় ৩০ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনিজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। কিডনি রোগের পাশাপাশি এসএলই ও ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন। মরণোত্তর দেহদানের বিষয়ে সন্তানদের বলে গিয়েছিলেন তিনি।
গত ৩১ জানুয়ারি আবদুল আজিজের চোখে বিএসএমএমইউর চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শীষ রহমান নন্দিতার একটি কর্নিয়া সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। একই দিনে প্রতিষ্ঠানের অপথালমোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজশ্রী দাস আরেকটি কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেন জান্নাতুল ফেরদৌসির চোখে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি মরণোত্তর অঙ্গদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সারাহ ইসলাম।
- আরও পড়ুন: পুরো দেহটাই দান করে গেছেন সারা
তার দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুই নারীর শরীরে। আর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয় আরও দুজনের চোখে।