বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সারার কর্ণিয়া পাবে আরও দুজন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:০১

বিএসএমএমইউ উপাচার্য ও জাতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রথম অঙ্গদাতা হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন সারা ইসলাম। বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার নাম।’

বাংলাদেশে প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ব্রেন ডেড রোগীর অঙ্গদানের মাধ্যমে সফল ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে। ২০ বছর বয়সী সারা ইসলামের অঙ্গদানের মাধ্যমে দুটি কিডনি দুজন কিডনি রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সারা দুটি কর্ণিয়াও দান করে গেছেন।

বিএসএমএমইউ-এর শহীদ ডা. মিল্টন হলে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রথম অঙ্গদাতা হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন সারা ইসলাম। বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার নাম। এর মাধ্যমে সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে।

উপাচার্য বলেন, ‘ব্রেন ডেথ হলো যাদের আইসিইউতে মস্তিষ্ক অচল হয়ে যায় এবং বাচার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় তাদেরকে ক্যাডাভেরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যদি তারা ক্যান্সার, হেপাটাইটিস, এইচআইভিসহ অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত না হয় তারা ক্যাডাভেরিক হিসেবে অঙ্গদান করতে পারে।’

বিএসএমএমইউ-এর শহীদ ডা. মিল্টন হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিএসএমএমইউ-এর কেবিন ব্লকে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশন থিয়েটারে এ রোগীর অপারেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল। আনেসথেসিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক ও অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিকের নেতৃত্বে সিনিয়র এনেসথেসিওলজিস্টগণ অপারেশন পরিচালনা করেন। অপারেশন প্রক্রিয়া শেষ হয় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে।

এই উদ্যোগে ছিলেন ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল হোসেন দিপু, সহযোগী অধ্যাপক ফারুক হোসেন, সহকারী অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, এ্যানেসথেসিয়া এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দেবাশিষ বণিক, অধ্যাপক দেবব্রত বণিক, সহযোগী অধ্যাপক দিলীপ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান সজিব, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, কনসালট্যান্ট মোমিনুল হক, সিনিয়র রেসিডেন্টবৃন্দ ও মেডিক্যাল অফিসারবৃন্দ। এ সময় নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মানিক মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।

সারা ইসলামের দুটি কিডনির একটি মিরপুরের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী শামীমা আক্তারের দেহে এবং আরেকটি কিডনি ফাউন্ডেশনে অপর এক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।

আইসিইউতে থাকাকালীন সারার চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক কামরুল হুদা। সারার মা শিক্ষিকা শবনম সুলতানা ও বাবা শহীদুল ইসলাম। তার একটি ছোট ভাই রয়েছে।

জন্মের ১০ মাস বয়সে দুরারোগ্য টিউবেরাস স্কেরোসিস রোগে আক্রান্ত হন সারা। সারার মা শিক্ষিকা শবনম সুলতানা ও বাবা শহীদুল ইসলাম। তার একটি ছোট ভাই রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সারার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর ও ইউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, কিডনি ফাউন্ডেশনের পথিকৃৎ অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রথম অঙ্গদাতা সারা ইসলামের মা শবনম সুলতানাসহ ইউরোলজি বিভাগ, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর