ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর বাস্তবায়ন শুরু হবে শিগগিরই।
দেশের আরও ৪৫ উপজেলায় বুধবার বেলা ১১টার দিকে কমিউনিটি ভিশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সরকারপ্রধান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর আগে আরও ৭০ উপজেলায় তিনি কমিউনিটি ভিশন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চিকিৎসা সেবার সঙ্গে গবেষণাও জোরদার করেছি। দেশের বড় বড় জেলাগুলোতে মেডিক্যাল করেছি। বিভাগগুলোতে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। সেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।’
অনুষ্ঠানে চোখের চিকিৎসাকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আই ভিশন সেন্টারগুলো আমরা উদ্বোধন করছি, তবে অন্যান্য সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের এই উদ্যোগের ফলে এখন অনেক অন্ধ মানুষের চোখের আলো ফিরে এসেছে।
‘এর মাধ্যমে উপজেলাগুলোতে হাসপাতালেই সব ধরনের চোখের সমস্যায় রোগীরা সেবা নিতে পারবেন বলে আশা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে ৭০টি এবং আজ ৪৫টি উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম। লোকজন যেন সহজে হাসপাতালে আসতে পারেন, সে জন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে দিয়েছি।
‘আমরা চাই হাসপাতালগুলোতে রোগীর সেবা আরও যেন বৃদ্ধি পায়। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সহায়তা করতে হবে।’
সরকার সফলভাবে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করেছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেয়ায় করোনায় মৃত্যু কম হয়েছে। আমরা সাহস করে টিকা এনেছিলাম। বিনা মূল্যে মানুষকে টিকা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে দেশের হাসপাতালগুলোতে বেড ছিল ৩৮ হাজার। এটি ৬৭ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ প্রতিটি ইনস্টিটিউট আওয়ামী লীগের সময়ে প্রতিষ্ঠিত।
‘শিশু হাসপাতাল প্রতিটি বিভাগে হওয়া উচিত। শিশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ট্যাক্স তুলে নেয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনায় ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজকে ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ৫ হাজার শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শুরু করতে পারিনি, তবে শিগগিরই করে ফেলব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অনেকে।
কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে দেশের সাত বিভাগের ৩৯ জেলার ১৩৫ উপজেলায় সমন্বিত চক্ষু চিকিৎসাব্যবস্থা চালু হয়েছে। এতে দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে।