ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী বেড়ে গেছে সারের দাম। এ সংকট মলমূত্র দিয়ে নিরসন করা যেতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
এ সংশ্লিষ্ট একটি গবেষণা সোমবার ফ্রন্টিয়ার্স ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়, মলমূত্র থেকে তৈরি সার মানুষের জন্য নিরাপদ। ওষুধ থেকে মানুষের শরীরে যাওয়া রাসায়নিক পদার্থ খুব কম মাত্রায় এ সারের মাধ্যমে খাদ্যে প্রবেশ করবে।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর গ্যাসের দাম যাওয়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সার উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায় খুঁজছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গবেষকরা ৩১০টি রাসায়নিক দ্রব্যের খোঁজে মানুষের মলমূত্রে পরীক্ষা করেছেন। এতে দেখা যায়, মাত্র সাড়ে ছয় শতাংশ রাসায়নিক দ্রব্য শনাক্ত করা গেছে এবং এগুলোর ঘনত্বও কম ছিল।
এ নিয়ে গবেষণায় বলা হয়, ওষুধের রাসায়নিক যৌগগুলো মলমূত্রের সার হয়ে খাবারে প্রবেশ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য কম ঝুঁকির।
এদিকে গবেষণায় বাঁধাকপির ভেতর দুটি ওষুধের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে একটি হলো ব্যথানাশক আইবুপ্রোফেন ও মৃগী রোগের ওষুধ কার্বামাজেপাইন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি কার্বামাজেপাইন ট্যাবলেটের কাজ করতে পারে প্রায় পাঁচ লাখ বাঁধাকপি।
গবেষণার প্রধান লেখক আরিয়ান ক্রাউস বলেন, ‘মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রস্তুত হলে জার্মানিতে ২৫ শতাংশ কৃত্রিম খনিজ সারের পরিবর্তে মানুষের মলমূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।’