‘চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের হেলথ কার্ড থাকবে। গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসতে হবে না। সে অনুসারে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান একেবারে ওয়ার্ড পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক আগে তিন কক্ষের ছিল। সেটা চার কক্ষের করা হয়েছে। আর ৩২টি ওষুধের পাশাপাশি শিশুদের জন্য ইনসুলিন রাখা হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালগুলো ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ক্যানসার হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দেড় শ বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শয্যা ছিল ৫০০। সেখানে তা বাড়িয়ে এক হাজার শয্যা করা হয়েছে।
‘রাজধানী ঢাকায় পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও আমরা ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। এমবিবিএস হাসপাতালে এক হাজার ২০০ আসন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থায় জোর দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের একটি হেলথ কার্ড থাকবে। ইতোমধ্যে এমন পরিকল্পনা প্লানিং কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী তা একনেক বৈঠকে পাঠাবেন।
‘ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসা ও ভেজাল ওষুধ যাতে তৈরি না হয় সেদিকে আমরা জোর দিচ্ছি।’