বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেব্রুয়ারিতে বাড়তে পারে করোনার সংক্রমণ, আইইডিসিআর’র শঙ্কা

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০৭

আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা মোস্তাক হোসেন বলেন- বাংলাদেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি-১ এবং বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। তবে এতে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি বেশি হবে না। হয়তো আমাদের এখানে ফেব্রুয়ারির দিক থেকে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে পারে।

চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ার পর বিভিন্ন দেশে আবার তা ছড়িয়ে পড়ছে। ওমিক্রনের চেয়েও এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। বাংলাদেশেও করোনার নতুন এই ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। ফেব্রুয়ারির দিকে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট মূলত ওমিক্রনেরই সাব-ভ্যারিয়েন্ট। সেখান থেকেই শাখা-প্রশাখাগুলো এসেছে। আর ভাইরাস পরিবর্তিত হয়ে যেটা বেশি সংক্রামক সেটাই টিকে থাকে, বাকিগুলো হারিয়ে যায়। এখন যে সমস্ত সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলো এসেছে সেগুলো আগেরগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক। সেগুলোই টিকে আছে ও সার্কুলেশনে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি-১ এবং বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। তবে এতে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি বেশি হবে না। হয়তো আমাদের এখানে ফেব্রুয়ারির দিক থেকে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে পারে।’

বিজ্ঞানী মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘করোনার সব ধরন এবং উপধরনই শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগকে আক্রান্ত করে। নাক ও গলা এগুলো আক্রান্ত হয়, ফুসফুসে যায় না। ফুসফুসে গেলে শ্বাসকষ্ট হবে, জীবন সংকটাপন্ন হতে পারে। যদি বয়স বেশি হয় বা আগের থেকে যেকোনো রোগে ভোগেন তাদের এটা হতে পারে। ক্ষতির ক্ষমতা গুরুতর না হলেও বেশি ছড়াচ্ছে। যারা টিকা নিয়েছেন তারা আক্রান্ত কম হচ্ছেন। তাদের ক্ষতির সম্ভাবনাও কম। তাদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তাই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থতা ঠেকানো সম্ভব।’

টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টিকার কার্যকারিতা থাকে বহুদিন। তবে পূর্ণমাত্রায় থাকে না। তাই ছয় মাস পর পর আর একটি ডোজ নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে তৃতীয় ডোজ নেয়ার সংখ্যা যথেষ্ঠ না। আর চতুর্থ ডোজ তাদের নেয়া উচিত যাদের বয়সটা বেশি এবং বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। যারা হাসপাতালে কাজ করছেন অর্থাৎ ফ্রন্টলাইনারদের টিকা নিয়ে নেয়া ভালো।’

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে ক্ষতি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে আগের মতো সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সচেতনত বাড়াতে হবে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সবাইকে টিকা নিতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।’

টিকার মেয়াদ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেয়াদ নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর