স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং কোভিড-১৯ টিকা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির সভাপতি (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা দেশে ফিরছেন।সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দেশে ফিরবেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ডক্টর সেব্রিনার অবস্থা আগের থেকে ভালো। তবে তিনি দাপ্তরিক কাজ করার জন্য পুরোপুরি সুস্থ হননি। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত তিনি আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন।’
অসুস্থতা নিয়ে এ বছর জুলাইয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আগস্টের শুরুর দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সেখানেই তার অস্ত্রোপচার হয়।
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই হাসপাতালে তার পাঁচবার নেক্রোসেক্টোমি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার অগ্ন্যাশয় এবং পিত্তনালীর রস যে পথে আসে তা সরু হয়ে গিয়েছিল। ফলে পিত্ত জমা হয়ে থাকছিল, জন্ডিস দেখা দিয়েছিল। এছাড়া পিত্তরসে অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকে, ফলে কোলানজাইটিস হচ্ছিল। এজন্য রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে তার ইআরসিপি (ওই মুখটা কেটে বড় করে দেয়া) করা হয়েছিল, যেন পিত্তরস এবং অগ্ন্যাশয়ের রস বাধাহীনভাবে আসতে পারে।
অস্ত্রোপচারের পর সেব্রিনা ফ্লোরার পিত্তনালী এবং অগ্ন্যাশয়ে ব্যথা শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেয়া হয়। সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার কিডনি বিকল হয়। তখন তাকে ডায়ালাইসিস করতে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা করতে গেলে তার হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়। হার্ট পাম্প করতে গিয়ে ফুসফুসে পানি জমে যায়। পরে তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়।