চীনে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও দেশটির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করছে না বাংলাদেশ। অর্থনীতিসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় ফ্লাইট চালু রাখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত 'কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন'-সংক্রান্ত ভার্চুয়াল মিটিং শেষে রোববার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) আহমেদুল কবির।
চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আহমেদুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীনে বিএফডটফাইভের নতুন ধরন বিএফডটসেভেন শনাক্ত হয়েছে। এটি অমিক্রনের চেয়েও শক্তিশালী। কম সময়ে আক্রান্ত করার ক্ষমতাও বেশি। তাই সচেতনতার পাশাপাশি যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো ভুলতেই বসেছি যে কোভিড এখনও আছে। শুরুর দিকে যে সচেতনতা ছিল- যেমন দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা সেগুলো এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। সবাই দেখছে আক্রান্ত খুব কম এবং মৃত্যু নেই, কিন্তু সেটা ফিরে আসতে কতক্ষণ?
'ইতোমধ্যে আমরা চীনে দেখতে পাচ্ছি নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঘটেছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ক্ষমতা চার গুণ বেশি বলে জানা গেছে। তাই সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। কোভিড একেবারে শেষ হয়ে যায়নি, তাই শুরুর মতো আবারও সতর্কতা মেনে চলতে হবে।’
চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধের সম্ভাবনা আপাতত নেই জানিয়ে আহমেদুল কবির বলেন, ‘ফ্লাইট বন্ধ হওয়া এক ধরনের মানবিক বিপর্যয়। এগুলো চিন্তা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
‘এমনিতেই আমরা বন্দরে স্ক্রিনিং চালু রেখেছি। যারা সন্দেহভাজন তাদের এন্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। হাজার হাজার লোক চীন থেকে আসছে। গণহারে সবাইকে তো টেস্ট করা সম্ভব না। ভারতেও র্যানডমলি করা হয়, সবাইকে টেস্ট করা হয় না।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে জানানো হয়, স্কুলের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা এখনও করোনার প্রথম ডোজ পায়নি তারা রাজধানীর দুটি কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে। এরপর দ্বিতীয় ডোজের ক্যাম্পেইন চালুর পর সব শিশু নিজেদের স্কুল থেকেই টিকা পাবে।
বৈঠক শেষে জাতীয় টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্যসচিব মো. শামসুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার উত্তর সিটির স্কুলগুলোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি হাসপাতাল (মহাখালীতে ডিএনসিসি হাসপাতাল) এবং দক্ষিণ সিটির জন্য গুলিস্তানের ঢাকা মহানগর হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চালু আছে। যেকোনো এলাকার শিশুরা চাইলে যেকোনো কেন্দ্রে টিকা দিতে পারবে।’
তিনি জানান, স্কুলে করোনার প্রথম ডোজ টিকাদান ক্যাম্পেইন চলার সময় অল্প কিছু শিক্ষার্থী বাদ পড়েছিল। তাদের জন্যই ঢাকায় এ দুটি কেন্দ্র চালু আছে।
প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার কার্যক্রম কতদিন চলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতদিন দ্বিতীয় ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু না হয় এবং কেন্দ্র চালু থাকে ততদিন শিশুরা প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারবে। এরপর স্কুলে গিয়েই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।’