বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চোখ বন্ধ করে রাখলে উন্নয়ন দেখতে পারবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:২১

‘বিরোধীরা অনেক কথা বলে। তারা নাকি উন্নয়ন দেখতে পান না। আপনারা চোখ বন্ধ করে রাখলে তো দেখতে পারবেন না। তাদের স্পেশালাইজড হাসপাতাল চোখে পড়ে না, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট চোখে পড়ে না। তাদের তো পদ্মা সেতুও চোখে পড়ে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সময়েই স্বাস্থ্যখাতে ৯০ শতাংশ উন্নয়ন হয়েছে। বিগত ৪৫ বছরে হাসপাতাল হয়েছে ১৫ হাজার। আর ৫ বছরেই হয়েছে ১৫ হাজার।’

সন্তান জন্ম দানের সময় প্রতি লাখে মায়ের মধ্যে মৃত্যুর হার ৬০০ থেকে ১৬৫ তে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। জানিয়েছে মায়ের পাশাপাশি কমেছে শিশু মৃত্যুহারও।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে স্বাস্থ্য শিক্ষার পর একটি অনুষ্ঠানে এসব নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেছেন, চোখ বুঁজে থাকলে উন্নয়ন দেখা যাবে না।

দুপুরে গুলশানে দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে ‘ডেভেলপমেন্ট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন স্ট্র্যাটেজি ফর দ্য ফিউচার হেলথ ওয়ার্কফোর্স ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে এই অনুষ্ঠানটি হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীরা অনেক কথা বলে। তারা নাকি উন্নয়ন দেখতে পান না। আপনারা চোখ বন্ধ করে রাখলে তো দেখতে পারবেন না।

‘তাদের স্পেশালাইজড হাসপাতাল চোখে পড়ে না, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট চোখে পড়ে না। তাদের তো পদ্মা সেতুও চোখে পড়ে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সময়েই স্বাস্থ্যখাতে ৯০ শতাংশ উন্নয়ন হয়েছে। বিগত ৪৫ বছরে হাসপাতাল হয়েছে ১৫ হাজার। আর ৫ বছরেই হয়েছে ১৫ হাজার।

‘আগে ১০ হাজার রোগীর বিপরীতে এক জন ডাক্তার ছিল। এখন এক হাজার জনে এক জন হয়েছে। নার্স রয়েছে অনেক। শুধু নার্স না, হাসপাতালে সহকারী যারা আছেন তাদের তো আমাদের চোখে পড়ে না। আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। কাজ হচ্ছে, কাজ আরও হবে।

‘দেশ যখন স্বাধীন হওয়ার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাতে কী কী উন্নয়ন হয়েছে সেটি দেখতে হবে। আটটা হাসপাতাল দিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। এখন হাসপাতাল, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান সব সেক্টর উন্নত করা হয়েছে।’

এখনও অনেক দূর যাওয়ার সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভালো ল্যাব দরকার। ভালো টিচার দরকার। অ্যানেস্থেশিয়া স্পেশালিস্ট কম আছে। আমরা ডিজিটালাইজেশন এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুরো হেলথ সেক্টরকে ডিজিটালাইজড করতে হবে।’

শিক্ষার মান উন্নত করারও তাগিদ দেন মন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা বিভাগের অনেক দায়িত্ব। কোনো জাতি উন্নতি লাভ করতে না পারে যদি তারা শিক্ষিত না হয়। অনেক দেশেই সম্পদ আছে। সম্মান রেখেই বলছি শিক্ষা সেভাবে নেই বলে তারা উন্নয়ন করতে পারেনি। যেমন আফ্রিকার অনেক দেশেই ডায়মন্ড আছে, গোল্ড আছে। কিন্তু শিক্ষার আলো সেভাবে পৌঁছায়নি। সেগুলো অন্যরা নিয়ে যাচ্ছে। তারা ভোগ করতে পারছে না।

‘আবার জাপানের কথা যদি বলি, তারা এগিয়ে আছে মেধার জন্য। তাদের সম্পদই হলো তাদের শিক্ষা এবং মেধা। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও নাম প্রয়োজন। সেটা কেন নেই। এখন সময় এসেছে দেখার।

‘আমাদের শিক্ষা আরও উন্নত হওয়া দরকার। কোয়ালিটি ট্রিটমেন্ট বাড়াতে হবে। সেগুলোও হবে। শুধু সার্টিফিকেট দেয়া আমাদের কাজ না। সেটা যেন কষ্ট করে অর্জন করতে হয়। আমেরিকার মত দেশে আট বছর লেগে যায় পড়াশোনা শেষ করে প্র্যাকটিসে আসতে। তাই আমাদের মেডিক্যাল সেক্টরে দক্ষতা বাড়াতে হবে। মানুষের লাইফ নিয়ে আমরা ডিল করি। নতুন নতুন রোগ আসছে। তার সমাধানও হচ্ছে৷ তাই ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে।’

শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতায়ও জোর দেন মন্ত্রী্ বলেন, ‘সব জিনিসের মধ্যে এথিক্স এর একটা বিষয় আছে। শিক্ষা, রাজনীতি সব ক্ষেত্রে। হেলথ সেক্টরেও সেটা থাকতে হবে। উপজেলা লেভেলে আমরা ডাক্তার পাঠাতে পারি না। তারা যেতে চায় না। এখানেও আস্থা বাড়াতে এবং টেকনোলজি উন্নত করতে কাজ চলছে।

‘আপনারা স্বাস্থ্য সেবাদানে লিডার যখন হবেন, তখন আপনাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। প্রশাসনিক কোয়ালিটির অভাব আছে। যেটা বাড়াতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের রিসার্চ বাড়াতে হবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণের সভাপতি সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর