বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০-এর দুটি ধারা সংশোধন করে দেশের ভুয়া চিকিৎসকদের সাজা বাড়াতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ভুয়া চিকিৎসকদের সাজা বাড়াতে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারি আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রুল জারি করে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, বিএমডিসির মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মহাপরিদর্শক, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলেছে।’
ভুয়া চিকিৎসক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২৯ নভেম্বর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২২(২) ও ২৮(১ ও ৩) ধারায় ভুয়া চিকিৎকদের সাজা তিন বছরের বিধান রয়েছে। এই সাজার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয় রিটে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংবিধানের ১৫(ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার।’
মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তা-ই নয়, দেশের সাধারণ মানুষ এসব ভুয়া ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে।