করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাত দিনব্যাপী দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে শুক্রবার। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে শরিক হয়ে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি।
রাজধানীর মহাখালীতে ইপিআই কার্যালয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন ছিল ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। আমরা পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দিচ্ছি। এ পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যার ৮৭ ভাগ প্রথম ডোজ ও ৭৩ ভাগ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে।
‘যারা প্রথম ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন তাদেরকে সাত দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে। বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে আমরা ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর এই টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করেছি।
‘সারাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ক্যম্পেইন চলবে। ক্যাম্পেইনে শুধু দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।’
ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার। কেন্দ্র থাকবে ১৫ হাজার ৯৮৪টি। টিম থাকবে ১৭ হাজার। ভ্যাক্সিনেটর থাকবে ৩৪ হাজার।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চতুর্থ ডোজের একটি গাইডলাইন দিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটা কিভাবে দেয়া তা জানিয়ে দেয়া হবে। তবে আমরা জোর গলায় বলতে পারি, চতুর্থ ডোজও পাইপলাইনে আছে। জাতীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা সেটা সবার সামনে তুলে ধরব।’