শীতের আগে আগে ডেঙ্গু ভীতি ছড়িয়েই যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হলো আটজনের, যা এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত ৩ নভেম্বর ৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল।
এরই মধ্যে এক বছরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড হয়ে গেছে, দিনকে দিন সেই সংখ্যাটি বেড়েই চলেছে।
বছরের যে সময় ডেঙ্গু রোগ সাধারণত দেখা যায় না, সেই সময়টাতেই এবার প্রকোপ বেশি। কেবল নভেম্বরের ১৫ দিনেই মারা গেল ৭২ জন, যা অক্টোবরের ৮৬ জনের কাছাকাছি।
চলতি বছর এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৩ তে। গত ২২ বছর ধরে রাখা পরিসংখ্যানে এর আগে কখনও এত বেশি মানুষ মারা যায়নি।
এই জ্বরের প্রকোপ সাধারণত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলেও নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষ হতে চললেও প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর আসছে, সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শত শত মানুষ। চলতি মাসে এমন একটি দিনও যায়নি যেদিন কোনো রোগী মারা যায়নি।
এবার রোগটির প্রকোপ শুরু হয় সেপ্টেম্বরে, যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সেপ্টেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৯ হাজার ৯১১ জন, অক্টোবের এই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ২১ হাজার ৯৩২ জনে। নভেম্বরের অর্ধেক পার হতেই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯৬৮ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯২ জন।
এদের মধ্যে ৩৭২ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৩২০ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে।
বর্তমানে সারা দেশে ২ হাজার ৮৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৬৩৮ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার ২১৩ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৯ হাজার ৯৯২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩২ হাজার ৫৩৫ ও ঢাকার বাইরে সারা দেশে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৫৭ জন।