চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মশালায় তিনি এই নির্দেশনা দেন। পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়ন বিষয়ে এই বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা যেন নষ্ট না হয় সে জন্য এর যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।
দেশের ওষুধশিল্প এখন মানসম্পন্ন ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরি করছে। এসব ওষুধ তারা বিদেশেও রপ্তানি করছে বলে জানান স্বাস্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬০ হাজারের বেশি হয়েছে। প্রসবকালে মাতৃমৃত্যু রোধে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য আজ এই বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী সেক্টর কর্মসূচিতে ক্যানসার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পেতে মানুষের ব্যক্তিগত ব্যয় কমাতে হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে উৎসাহিত করতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাশেদা আকতার, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্মসচিব শায়লা শার্মিন জামান।
স্বাস্থসেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দকার অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন।