এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে ফি নির্ধারণ হয়েছে ১০০ টাকা, আর বেসরকারি হাসপাতালে এই রোগ পরীক্ষা করা যাবে ৩০০ টাকায়।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সভাকক্ষে ‘কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে পর্যালোচনা’ শীর্ষক একটি পরামর্শমূলক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে এখন থেকে ১০০ টাকা ফি দিতে হবে। আর বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষার জন্য ৩০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।’
এর আগে অবশ্য গত শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারি হাসপাতালে বিনা মূ্ল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। রোববারের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত ছিলেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও জাতিসংঘের মহাসচিবের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ।
এতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপ্তি বাড়ানো এবং একে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করতে জনবল গড়ে তোলার পাশাপাশি পর্যাপ্ত বাজেট দেয়া জরুরি। বর্তমান সরকার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
‘দেশে বর্তমানে ১৮ ভাগ প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিক রোগে ভুগছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই হার ১২ ভাগ। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ ও প্রস্তাব দিয়েছেন। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে আমরা সায়মা ওয়াজেদের প্রস্তাবগুলোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োগ করা হবে। পাবনা মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে চিকিৎসার পাশাপাশি অত্যাধুনিক মানের ট্রেনিং সেন্টার করা হবে। করোনায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এশিয়ায়, এমনকি বিশ্বেও রোল মডেল হতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে মূল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের ঘাটতি প্রকট। তথাপি মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আইন, ও নীতিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়নসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রণিধানযোগ্য কাজ রয়েছে। এখন প্রয়োজন তৃণমূল পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি জনগণের ভেতরে মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করাও জরুরি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক এনসিডিসি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, এনডিসি সুরক্ষা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা।