রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের সব ধরনের অনুমোদন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে মেডিক্যাল কলেজটির অনুমোদন বাতিল করা বিষয়ে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান জানান, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত)-এর শর্তসমূহ কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ না মানায় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ কলেজের কার্যক্রম চলমান রাখে। গত ২৬ জুলাই এ রিট পিটিশনটি প্রত্যাহার করা হয়। স্থগিতাদেশের পর গত পাঁচ বছরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজটির মানোন্নয়ন করতে পারেনি। একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় তারা ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি জানান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নেতৃত্বে গঠিত পরিদর্শন কমিটি কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ গত ১৪ জুন পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুসারে কলেজটিতে সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ নেই বলে কমিটি জানায়। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত) এবং 'বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০১২' অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ পরিচালনার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের আবেদন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করায় এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মতামত নেয়া হয়। ওই মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় গত ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে সভা হয়।
সভায় কেয়ার মেডিক্যাল কলেজে নানা ধরনের ঘাটতি ও সমস্যা থাকায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি বলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং অধ্যক্ষ জানান। তারা কলেজটি পরিচালনায় আর আগ্রহী নন বলেও জানান। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবরের সভায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২' এর ধারা-২৪ অনুসারে বেসরকারি কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আতিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কলেজের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ঝামেলা ছিল। এই বিষয়ে আপনারা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবেন।’