বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার বাড়ায় স্ট্রোকের ঝুঁকি

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ২২:৫৩

‘খাবারে বাড়তি লবণ না খাওয়া, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা, নিয়মিত শরীর চর্চা করা, স্ট্রেস না নেয়া, ধূমপান না করার ওপর জোর দিতে হবে। মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করতে হবে। অধিক সময় মোবাইল ফোন নিয়ে বসে থাকলে স্ট্রেস বেড়ে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।’

দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। অন্য কারণের পাশাপাশি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সঠিক সচেতনতা এবং সমন্বিত চিকিৎসা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে স্ট্রোকের মৃত্যুঝুঁকি ও পঙ্গুত্ব কমানো সম্ভব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রোববার আয়োজিত স্ট্রোক বিষয়ক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এমন তথ্য তুলে ধরেন।

বিএসএমএমইউ-এর শহীদ ডা. মিল্টন হলে এই সেমিনারের আয়োজন করে নিউরো সার্জারি বিভাগ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হলে অনেক মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। তবে স্ট্রোকের চিকিৎসা করার চেয়ে স্ট্রোক প্রতিরোধ করাটা জরুরি। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।

‘খাবারে বাড়তি লবণ না খাওয়া, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা, নিয়মিত শরীর চর্চা করা, স্ট্রেস না নেয়া, ধূমপান না করার ওপর জোর দিতে হবে। মোবাইল ফোন কম ব্যবহার করতে হবে। অধিক সময় মোবাইল ফোন নিয়ে বসে থাকলে স্ট্রেস বেড়ে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।’

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালিত হয়েছে ২৯ অক্টোবর, শনিবার। ‘জানুন স্ট্রোকের লক্ষণ, মিনিটেই বাঁচিয়ে দিন বহু জীবন’ স্লোগান নিয়ে বিএসএমএমইউ-তে দিবসটি পালিত হয়।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকালে বিএসএমএমইউ-এর নিউরোলজি, নিউরো মেডিসিন ও নিউরো সার্জারি বিভাগ পৃথক শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এছাড়াও নিউরো সার্জারি বিভাগ আয়োজন করে বৈজ্ঞানিক সেমিনার।

সেমিনারে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক। বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১০ জন স্ট্রোকের কারণে মারা যাচ্ছে। বিশ্বে প্রতি হাজারে ৮ থেকে ১০ জন মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। আর স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীর ৪৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ থাকে।

বিশ্বে প্রতি লাখে ২ থেকে ১৩টি শিশু স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। শিশুদের স্ট্রোকের অর্ধেক হয় রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে। বাকি অর্ধেক হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে। ২৫ ভাগ শিশু বার বার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। স্ট্রোকে আক্রান্ত ৬৬ ভাগ শিশুর হাত-পায়ের দুর্বলতা ও খিঁচুনি দেখা দিতে পারে। স্ট্রোক শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়।

বাংলাদেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। স্ট্রোকের চিকিৎসার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা জরুরি। এই সময়ের মধ্যে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হলে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব কমানো সম্ভব। শতকরা ৮০ ভাগ স্ট্রোক আক্রান্ত রোগী ওষুধের মাধ্যমেই সুস্থ হয়।

সেমিনারে আরও বলা হয়, স্ট্রোক প্রতিরোধে ৭টি পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারে তেল ও লবণের ব্যবহার কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও স্ট্রেস কমাতে নামাজ, উপাসনা বা মেডিটেশন করা।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ-এর নিউরো সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আখলাক হোসেন খান।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ, অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত, অধ্যাপক ডা. ধীমান চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, অধ্যাপক ডা. আইউব আনসারী, অধ্যাপক ডা. সুকৃতি দাস, অধ্যাপক ডা. হাসান জাহিদুর রহমান, অধ্যাপক ডা. কনোজ কুমার বর্মন, অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামসুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রকিবুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন ও ডা. খায়রুন নবী খানসহ অন্যান্য শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর