বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে প্রতি দিন যক্ষ্মায় ১১০ জনের মৃত্যু

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৪১

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যক্ষ্মা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আগে বছরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মারা যেত। এখন ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। সেই সংখ্যাও কম নয়। তবে আমরা চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি করেছি।’

মানুষের মৃত্যুর জন্য যেসব রোগ দায়ী তার মধ্যে যক্ষ্মা অন্যতম। প্রতিবছর দেশে প্রায় ৩ লাখ মানুষের টিবি শনাক্ত হয়, এর মধ্যে মারা যান ৪০ হাজার মানুষ। অর্থাৎ দেশে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে যক্ষ্মায়, দিনের হিসাবে এই সংখ্যা ১১০।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রোববার সকালে ‘ডিসসিমেশন অন নাইনথ টিবি জয়েন্ট মনিটরিং মিশন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘আমরা যক্ষ্মা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আগে বছরে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মারা যেত। এখন ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। সেই সংখ্যাও কম নয়। তবে আমরা চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি করেছি।

‘আমাদের দেশে প্রতিটি হাসপাতালে জিন এক্সপার্ট মেশিন রয়েছে। কিন্তু শুধু মেশিন থাকলে হবে না। মেশিনের সাহায্যে টিবি শনাক্ত করতে মানুষকে হাসপাতালে আসতে হবে। এখন চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। বাকি অংশের চিকিৎসার জন্য টিবি শনাক্ত করা জরুরি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কমিনিউটি পর্যায়ে বেসিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে যারা আছেন তারা তেমন শিক্ষিত না। তারা প্যারামেডিক। তাই সেখানে টিবি চিকিৎসা দেয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘সংক্রামক অনেক ব্যাধির মতোই টিবি একটি। মাঝে মাঝে মহামারির মতো সংক্রামক ব্যাধি আসে। এর মধ্যে করোনা মহামারি এলো। আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি বলেই টিবির কার্যক্রম চালাতে পারছি। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো বাংলাদেশ ভ্যাক্সিন দিয়েছে ৯০ শতাশ এবং বিশ্বে এই সংখ্যা ৭০ শতাংশ।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি ২০৩০ সালের মধ্যে টিবিও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনব। আগে টিবি অবহেলা করা হতো। ধরেই নেয়া হতো এটা বয়ষ্কদের হয়। কিন্তু টিবি শিশুদেরও হয়। এখন টিবি চিকিৎসা আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে। মৃত্যুহার কমে এসেছে। টিবি শূন্য সংখ্যায় আনতে আমাদের ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সবার সহযোগিতা জরুরি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, ‘যারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তাদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট, মেডিক্যাল সাপোর্ট এবং পুষ্টি সরবরাহের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সেটা খুবই ফলপ্রসূ হবে। টিবি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতে সমস্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। বিনা মূল্যে যক্ষ্মার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দরকার এবং ভালো টেকনিশিয়ান দরকার যক্ষ্মা চিহ্নিত করার জন্য।’

স্বাস্থ্যসচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগী শূন্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। এটি অর্জন করতে হলে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। আর সে জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো রোগীর সংখ্যা চিহ্নিত করা।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা জালাল মাহিউদ্দিন, ইউএইড বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর ক্যারি রাসমুসান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বার্ডান জাং রানা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর