বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল অনলাইনে প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ-২ বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে অনলাইন রিপোর্টিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এর উদ্বোধন করা হয়।
বিএসএমএমইউ-এর বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে রোগীর স্বাস্থ্যের প্রায় একশ’ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের নেতৃত্বে অনলাইন রিপোর্টিং এই সফটওয়ার তৈরি করা হয়। এই অনলাইন রিপোর্টিং-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রোগীর মোবাইল ও ই-মেইল আইডিতে পৌঁছে যাবে।
এর জন্য রোগীকে পরীক্ষার স্যাম্পল বা নমুনা দেয়ার সময় ছোট একটি ফরমে নাম ও ই-মেইল আইডি লিখতে হবে। এ অনলাইন সেবার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মাঝেই রোগীর স্বাস্থ্য রিপোর্টরে ফল অনলাইনে দেয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বিএসএমএমইউ-তে প্রতিদিন গড়ে নয় হাজার রোগী সেবা নিতে আসেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে আট হাজার রোগী প্রতিদিন সেবা নিতে আসতেন। বর্তমানে আগত রোগীদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার রোগী বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসেন। এসব রোগী অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল গ্রহণের মাধ্যমে সময় ও অর্থ বাঁচাতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অনলাইন সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন পূরণের পথ তৈরি হয়েছে। বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন আরেকটি ধাপে পা রাখল।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে খুব দ্রুত চালু করা হবে।’
সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ-এর বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মতিউর রহমান, অধ্যাপক ডা. ফরহাদুল হক মোল্লাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।