ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নিধনের ওপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলে ডেঙ্গু রোগীও কমবে, মৃত্যুহার কমবে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের নবনির্মিত আবুল হোসেন রেস পাইরেটরি সেন্টার ও নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে দিনে প্রায় ১ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ৬-৭ জন করে মারা যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে রোগী যেন না বাড়ে। এ জন্য আমাদের প্রয়োজন এডিস মশা নিধন করা। বাড়িতে এবং বাড়ির আশপাশে যেখানে মশা জন্মাতে পারে সেগুলোর জায়গা পরিষ্কার রাখা। এভাবে প্রত্যেক জায়গায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলে ডেঙ্গু রোগীও কমবে, মৃত্যুহারও কমবে।’
প্রতিবছর বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেলেও এবার রোগটি শরতে বেশি ছড়াচ্ছে, মৃত্যুও বেশি হচ্ছে এই সময়ে। কেবল অক্টোবরের ১৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এর মধ্যে ১৩ অক্টোবর মারা যান সর্বোচ্চ ৮ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। বাংলাদেশ এখন পোলিওমুক্ত। দেশ এখন অনেক রোগের সংক্রমণ থেকে মুক্ত। এর ফলে মৃত্যুর হার কমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। তার অবদান বিশ্ব দেখছে।
সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান কমিয়ে আনতে ৫০০ মডেল সেন্টার ইউনিয়ন পর্যায়ে চালু হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগেও বলেছি, বাংলাদেশে সিজার বেশি হয়। আমরা চাই, সিজারের হার কমিয়ে নরমাল ডেলিভারির হার বাড়াতে। এর জন্য আমরা ৫০০ মডেল সেন্টার চালু করছি। এতে মা ও শিশুর সুস্থতা হার বাড়বে। মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে।’
শিশু হাসপাতাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল এই শিশু হাসপাতাল। আমরা চাই, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আমরা প্রথম অবস্থান অর্জন করতে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।