বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আপনার শিশুর চোখ ‘অলস’ না তো?

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৩২

‘এর চিকিৎসা হচ্ছে যে চোখটি অলস তাকে সক্রিয় রাখা। তাই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় চোখ ভালো চোখ তুলা দিয়ে ঢেকে রেখে অলস চোখ দিয়ে কাজ করতে হবে। সে সময় ওই চোখ ব্যবহার করে পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজের মাধ্যমে সক্রিয় রাখতে হবে। আর চশমা তো পরতেই হবে সব সময়।’

সাদ্দিক করিম দুই বছর বয়স থেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছে। তার ডান চোখে দূরের দর্শন ক্ষমতা কম। অর্থাৎ দূরের জিনিস ওই চোখে কম দেখে সে।

সাদ্দিকের বাবা এনামুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে খেয়াল করি ও কোনো কিছু দেখতে গেলে ডান চোখ বাঁকা করে তাকাচ্ছে। তখনই ডাক্তার দেখাই। প্রথমে ডাক্তার বলে এটা হলো অলস চোখ বা অ্যামব্লায়োপিয়া। এক্ষেত্রে একটি চোখ ভালো থাকে।

‘যে চোখে কম দেখে সেটিকে অলস চোখ বলে আমাদের জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরে ঢাকায় দ্বীন আই কেয়ারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ এনায়েত হোসেনকে দেখাই। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে এটি ভালো হয়ে যেতে পারে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।’

পাঁচ বছরের আইশা রহমান। সাড়ে চার বছর থেকেই চোখ এবং মাথাব্যথা। পরীক্ষা করে দেখা গেল, সেও দূরের জিনিস কম দেখে। দুই চোখেই এক সমস্যা। ঘুম এবং গোসল বাদে চশমা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার।

এনায়েত হোসেন বলেন, ‘এর চিকিৎসা হচ্ছে যে চোখটি অলস তাকে সক্রিয় রাখা। তাই দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় চোখ ভালো চোখ তুলা দিয়ে ঢেকে রেখে অলস চোখ দিয়ে কাজ করতে হবে। সে সময় ওই চোখ ব্যবহার করে পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজের মাধ্যমে সক্রিয় রাখতে হবে। আর চশমা তো পরতেই হবে সব সময়।’

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিটিউটের রেটিনা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সালেহ আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চোখের সমস্যাগুলো আগেও ছিল। তখন মানুষ এত সচেতন ছিল না। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রযুক্তির দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে বাচ্চারা।

‘বাচ্চাদের বাইরে খেলাধুলার সুযোগ কম থাকা, ফ্রেশ খাবার এবং ভিটামিন-এ যুক্ত ফ্রেশ খাবার কম খাওয়ায় সমস্যাগুলো আরও বেড়েছে। এতে এখন অনেক শিশুকেই খুব অল্প বয়স থেকেই চশমা পরতে দেখা যায়।

“তবে এটাও অনেকে জানেন না যে এই সমস্যাগুলো সাধারণত প্রিম্যাচ্যুরিউর বেবিদের হয়ে থাকে। এটা জন্মগতভাবে বা বংশগতভাবে হতে পারে। জন্ম নেয়ার ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত ২ সপ্তাহ পর পর চেকআপ করতে হয়। যেটা অনেকেই করেন না। সময় মতো চিকিৎসা না নেয়া হলে ‘লেজি আই’ বা অলস চোখ হয়ে যায়। তবে স্বাভাবিক বাচ্চাদেরও হয়। এক্ষেত্রে সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে মায়োপিয়া (দূরের জিনিস কম দেখা), হাইপারমেট্রোপিয়া (কাছের জিনিস কম দেখা) এগুলো দেখা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে মায়োপিয়া বেশি হয়। তাই বাচ্চাদের ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যবহার থেকে দূরে রাখতে হবে।”

এই সচেতনতাগুলো সৃষ্টির জন্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক দৃষ্টি দিবস’ পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজকের দিনটিই সেই ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি পালন করা হয়।

সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন।’

বিশ্বব্যাপী চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য গণসচেতনতা তৈরি, চক্ষু রোগ নির্মূলে প্রভাবিত করা, চোখের যত্ন নেয়ার তথ্য জনগণের কাছে নিয়ে আসাই হলো বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের লক্ষ্য।

এ বিভাগের আরো খবর