বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় কমেছে শনাক্তের হার, কাটেনি শঙ্কা

  •    
  • ৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:১৫

করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কারিগরি কমিটি ৫ দফা সুপারিশ করেছে। সর্বক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের করোনার টিকা যারা নেননি, তাদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

দেশে করোনার পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও তা শঙ্কা কাটাতে যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

করোনা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ৫ দফা সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি কমিটি। পরিস্থিতি বিশ্লেষণে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে জোর দেয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার জানিয়েছে, করোনা শনাক্তের হার শনিবারের চেয়ে কিছুটা কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনিবার এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। সে হিসাবে এক দিনের ব্যবধানে সংক্রমণ কমেছে ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে একজনের।

রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ১১৪টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪০৯ জনের দেহে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৯৪ জনই রাজধানীর বাসিন্দা।

এই সময়ে নতুন করে একজন মারা যাওয়ায় করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৮১ জন।

রোববার মারা যাওয়া ব্যক্তির বাড়ি ঢাকায়, তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭২৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬৫১ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৫ জন।

টানা ১৪ দিন ধরে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় দেশে পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয় ১৮ সেপ্টেম্বর।

দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি।

কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যায় দৃশ্যপট। বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। ১৫ দিন ধরে তা ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে এক-দুদিন শনাক্তের হার কমলেও তা কখনও ৫-এর নিচে নামেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।

গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক ছিল। ধারাবাহিকভাবে শনাক্ত বেড়ে এখন করোনার পঞ্চম ঢেউ আঘাত হেনেছে।

এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে শনিবার জাতীয় কারিগরি কমিটি ৫ দফা সুপারিশ করেছে।

সর্বক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের করোনার টিকা যারা নেননি, তাদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বদ্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভাগুলো যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার সুপারিশ করেছে কমিটি। অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় শতভাগ মাস্ক পরার সুপারিশ করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি।

এ বিভাগের আরো খবর