করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে আসছে না, বাড়ছে আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার নিয়মিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৪ হাজার ৭৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৫৭ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৭৪ জনই ঢাকার বাসিন্দা।
শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, মারা যাওয়া রোগী একজন নারী। তিনি ময়মনসিংহের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
টানা ১৪ দিন ধরে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায়, দেশে করোনার পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয়েছে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শনাক্তের হার টানা দু’সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলা যায়।
গত সোমবার পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ছিল ১২ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১৪ দশমিক ৩৫। মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪৩১ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬ মানুষ।
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তের পর মোট চারটি ঢেউ পাড়ি দিয়ে দেশ এখন করোনার পঞ্চম ঢেউয়ে। চতুর্থ ঢেউ থেকেই দেখা যাচ্ছে, দেশবাসীর মধ্যে এই ভাইরাস আগের মতো আতঙ্ক তৈরি করছে না, সে কারণে সতর্কতাও কমেছে। এ অবস্থায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। দেশে তিন মাস স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। চতুর্থ ঢেউ শেষে এখন পঞ্চম ঢেউ চলমান।