নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে উন্নত অনেক দেশ থেকেও এগিয়ে বাংলাদেশ। সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে করোনার টিকাদান কার্যক্রম এখনও চলছে দেশজুড়ে। তারপরও অনেকে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের বাইরে রয়ে গেছে।
টিকার বাইরে থেকে যাওয়া জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে এবার দেশে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের সময়সীমা আরও তিনদিন বাড়ানো হয়েছে।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সোমবার (৩ অক্টোবর) শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির সোমবার বেলা ২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তবে এর মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া চালু করা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
‘দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষকে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হয়েছে। টিকা নেয়ার কারণে করোনায় আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি কম হচ্ছে। মৃত্যু হারও অনেক কম।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছে ৯৮ শতাংশ মানুষ। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৯৩ শতাংশ।
‘বুস্টার ডোজ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে আমরা শতভাগ মানুষকেই টিকার আওতায় আনব। এজন্য আমাদের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষে টিকা দেয়ার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।’