গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ৪ হাজার ৭৮১টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৭৩৭ জনের দেহে, শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এর আগে গত ২১ জুলাই সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৮৮৪ জন করোনা শনাক্ত হয় বলে তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টানা ১৪ দিন ধরে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় দেশে পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ৪ হাজার ৭৮১টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৩৭ জনের দেহে, শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
নতুন শনাক্তদের ৫১৬ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
এই সময়ে আরও এক মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৬০ জনে দাঁড়াল। মৃত একজন নারী। তিনি রংপুরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ২৩ হাজার ১৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪১১ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৯ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তারপর চতুর্থ ঢেউ শেষে এখন পঞ্চম ঢেউ আঘাত হানছে।