দেশে দুই মাস পর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭১৮ জন।
এর আগে গত ২১ জুলাই এক দিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিনই সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৮৮৪ জন করোনা শনাক্ত হয় বলে তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টানা ১৪ দিন ধরে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় দেশে পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ৫ হাজার ২৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭১৮ জনের দেহে, শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
নতুন শনাক্তদের ৫৭৩ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
এই সময়ে আরও ছয় মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৫৯ জনে দাঁড়াল। মৃতদের মধ্যে দুজন ঢাকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন, বগুড়ার একজন, বরিশালের একজন ও পটুয়াখালীর একজন। মৃতদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ২২ হাজার ৪০৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪৩৬ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৮ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তারপর চতুর্থ ঢেউ শেষে এখন পঞ্চম ঢেউ আঘাত হানছে।