বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শিশু-কিশোররা মেদবহুল হচ্ছে, পুষ্টি পাচ্ছে না’

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৬

‘বাংলাদেশের মানুষ পুষ্টির মানদণ্ডে খায় না, তারা খায় তৃপ্তির মানদণ্ডে। পুষ্টির দিকে ফোকাস কম। ...অনেকে বাচ্চার ছয় মাস বয়সের আগেই বুকের দুধ বাদে অন্য খাবার দিয়ে দেয়। শুধু শারীরিক উন্নতি না, বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও খেয়াল করতে হবে।’

শিশু-কিশোরদের খাবার নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক করলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলছেন, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ঘরের বাইরে অপ্রয়োজনীয় নানা খাবারে অভ্যস্থ হচ্ছে। এতে তাদের শরীর মাংসল হচ্ছে, কিন্তু তারা পুষ্টি পাচ্ছে না।

পুষ্টিগ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর বিষয়ে সোমবার রাজধানীতে একটি কর্মশালায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ইস্যুর শেষ নেই, বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিষয়ক। পুষ্টি সম্পর্কিত কোনো বিষয় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের স্বাস্থ্যের স্ট্যাটাসে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সেগুলো পূরণে আমাদের প্রচেষ্টাও রয়েছে। সব যে কার্যকর হচ্ছে তা নয়, আবার সব হচ্ছে না তাও নয়।’

সুষম খাদ্য নিয়ে সচেতনতার অভাবকে পুষ্টিহীনতার প্রধান বাধা হিসেবে দেখছেন সচিব। বলেন, ‘আমাদের দেশে দেখলে মনে হয় দুনিয়াটা যেন খাদ্যগ্রহণের জায়গা। বাবা-মা সন্তানকে বেশি বেশি খাইয়ে সুঠাম দেহের অধিকারী করে বড় করেন যেন তারা কাজ করতে পারে।

‘কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা রেস্টুরেন্টে বেশি খায়, কেউ কেউ ঘরে বসে অর্ডার করছে। খাবার টেবিলেও আসে না। আমরা যেন খাওয়ার জন্যই বেঁচে আছি। বেঁচে থাকার জন্য খাচ্ছি না।

‘এতে স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। ফ্যাটি হচ্ছে কিন্তু পুষ্টি গ্রহণ হচ্ছে না। নানা ধরনের রোগ হচ্ছে। এর জন্য আমরা সবাই দায়ী।’

পুষ্টিগ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর বিষয়ে কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকার বিষয়টিও উঠে আসে সচিবের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সহায়তাকারী টিম রয়েছে। তারা কমিউনিটি পর্যন্ত কাজ করছে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা দেয়ার মতো কেউ নেই। আমাদের উদ্দেশ্য এসব সমস্যার সমাধান।’

পাবলিক হেলথ সার্ভিসের সহকারী সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃত্বকালীন সমস্যা দূর করতে হবে। ব্রেস্টফিডিংটাও নিউট্রিশনের একটা অংশ। প্রধানমন্ত্রী যে ১২টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো পূরণ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নিউট্রিশন প্রোগ্রাম চালু করব।’

ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসের লাইন ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ পুষ্টির মানদণ্ডে খায় না, তারা খায় তৃপ্তির মানদণ্ডে। পুষ্টির দিকে ফোকাস কম। ...অনেকে বাচ্চার ছয় মাস বয়সের আগেই বুকের দুধ বাদে অন্য খাবার দিয়ে দেয়। শুধু শারীরিক উন্নতি না, বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও খেয়াল করতে হবে।’

অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেসা বেগম বলেন, ‘একজন মানুষকে দেখতে হালকা বা স্থূলকায় হলে তাকে দেখেই আমরা স্বাস্থ্যের মানদণ্ড নির্ধারণ করব না। কারণ পুষ্টির বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। ৬৪ জেলায় আমরা নিউট্রিশন অফিসার নিয়োগ দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর