দেশে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। খুব দ্রুত দেশে এর কাজ শুরু হবে। এ কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেলের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান দুলাল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট-সংক্রান্ত একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শহীদ ডা. মিল্টন হলে জাতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট কমিটির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেল এই আয়োজন করে।
ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট হলো সদ্যমৃত কোনো মানুষের দেহ থেকে কিডনি, হৃৎপিণ্ড, অন্ত্র, অগ্ন্যাশয় প্রতিস্থাপন।
এর আগে ২২ জুন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে বহু মরণাপন্ন মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেলের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, ‘জাতীয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট জাতীয় কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আমাদের দেশে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্টের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং খুব দ্রুত দেশে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হবে। সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে বলে বিশ্বাস করি।’
বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথেসিয়া অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন।