গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। দেশে করোনার পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার তৃতীয় দিনে এত মৃত্যু দেখল দেশ।
এই সময়ে দেশে করোনা শনাক্তের হারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৭৩, যা পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ।
টানা ১৪ দিন ধরে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় দেশে পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয় রোববার।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি।
কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যায় দৃশ্যপট। বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। ১৪ দিন ধরে তা ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে এক-দুদিন শনাক্তের হার কমলেও তা কখনও ৫-এর নিচে নামেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
রোববার করোনা শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। সোমবার করোনা শনাক্তের হার রোববারের চেয়ে কিছুটা কমে হয় ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ৪ হাজার ৮৩১টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬১৪ জনের দেহে। নতুন শনাক্তদের ৪৬২ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
এই সময়ে আরও পাঁচ মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৪৫ জনে দাঁড়াল।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৮২৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৮৩ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬১ হাজার ২৬০ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তারপর চতুর্থ ঢেউ শেষে এখন পঞ্চম ঢেউ আঘাত হানছে।