বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার পঞ্চম ঢেউয়ে বাংলাদেশ

  •    
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:২৩

৫ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যায় দৃশ্যপট। বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। ১৪ দিন ধরে তা ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে এক-দুদিন শনাক্তের হার কমলেও তা কখনও ৫-এর নিচে নামেনি।

চতুর্থ ঢেউকে নিয়ন্ত্রণে আনতে খুব একটা বেগ পেতে না হলেও তার সুফল ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। টানা ১৪ দিন ধরে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকায় দেশে পঞ্চম ঢেউ নিশ্চিত হয়েছে।

দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি।

কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যায় দৃশ্যপট। বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমণ। ১৪ দিন ধরে তা ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে এক-দুদিন শনাক্তের হার কমলেও তা কখনও ৫-এর নিচে নামেনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সর্বশেষ রোববার জানিয়েছে, করোনা শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

শুক্রবারের তুলনায় শনিবার এই হার কমে হয়েছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কিন্তু রোববার এসে তা বেড়েছে তিন ভাগেরও বেশি।

এক দিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার আরও জানিয়েছে, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে ৪ হাজার ১৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫২৭ জনের দেহে। নতুন শনাক্তদের ৪৫০ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।

তবে এই সময়ে নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তাই মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৩৯ জনে রয়ে গেছে।

নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬১৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৮৪ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৬১৫ জন।২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।

গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তারপর চতুর্থ ঢেউ শেষে এখন পঞ্চম ঢেউ আঘাত হানছে।

এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে শনিবার জাতীয় কারিগরি কমিটির ৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের করোনার টিকা যারা নেননি, তাদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বদ্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভাগুলো যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার সুপারিশ করেছে কমিটি। অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় মাস্ক পরার সুপারিশ করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি।

এ বিভাগের আরো খবর