বেসরকারি পর্যায়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার খরচ কমানোর সুপারিশসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
শনিবার রাতে এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
কোভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৯তম সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে করোনার প্রকোপ বেড়ে শুক্রবার তা ছাপিয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে পৌঁছায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পর পর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা সুপারিশ করেছেন কারিগরি কমিটির সদস্যরা।
সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের করোনার টিকা যারা নেননি, তাদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বদ্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভাগুলো যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় মাস্ক পরার সুপারিশ করা হয়েছে।
বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি।