চিকিৎক সংকটে এক যুগ ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সি-সেকশন ডেলিভারি (অস্ত্রোপচারে প্রসব) সেবাটি চালুই হয়নি।
উপজেলার দিলারা আক্তার নামে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসবের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার এই হাসপাতালে চালু হয়েছে সেবাটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় এ তথ্য জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে।
হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সব যন্ত্রপাতিও কেনা হয়। তবে এতে বছর ধরে চিকিৎসক সংকটের কারণে এই সেবা চালু হয়নি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ জানান, বৃহস্পতিবার জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি ও অবস) নাফিছা জাফরিন প্রসূতি দিলারার অস্ত্রোপচার করেন। অ্যানেস্থেসিয়ায় ছিলেন ফৌজিয়া আক্তার। চিকিৎসক ইমরানা মুন্নী ও নইম জব্বার এবং নার্স ইনচার্জ নয়ন মনি পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেন। আর প্রসূতিকে রক্ত দেন স্টোর কিপার জামাল মিয়া।
এর মধ্য দিয়ে হাসপাতালে এই সেবাদান চালু হলো।
নবজাতকের বাবা মো. আব্বাস মিয়া বলেন, ‘চাপড়তলা ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে নাসিরনগর আসছি। আমি গরীব মানুষ। কৃষি জমিতে কাজ করে খাই। আমার ইউনিয়নের একজন স্বাস্থ্য সহকারী বলছে, উপজেলা হাসপাতালে বিনামূল্যে বাচ্চা প্রসব করানো যায়। তাই হাসপাতালে আসছি।
‘এখানে সিজার করছে। সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে দিছে। রক্তও দিছে হাসপাতালের একজন।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে সব সরঞ্জাম থাকার পরও অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন প্রায় ১২ বছর বন্ধ ছিল।
‘এখন হাসপাতালে গাইনি ও অ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসক যোগদান করায় চালু হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম। আজ এই প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয়া নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছেন।’