এক দিন বিরতি দিয়ে আবারও ঊর্ধ্বমুখী করোনা শনাক্তের হার। টানা ৯ দিন ক্রমাগত বৃদ্ধির পর বুধবার এসে শনাক্তের হার কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। কিন্তু পরদিন বৃহস্পতিবারই শনাক্ত বেড়ে গেছে শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার জানায়, এদিন সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এই সময়ে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন একজন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠে যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তদের ৩৪২ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৩ জন। আর সর্বশেষ একজনসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩০৩ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।