টানা ৯ দিন পর খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। কমেছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। চতুর্থ ঢেউ আঘাত হানার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু সেই সুফল ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার জানাল, করোনাভাইরাস শনাক্তের হার কমে হয়েছ ৮ দশমিক ৪১। এক দিনের ব্যবধানে এ হার কমেছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫-এর নিচে থাকলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমলেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
তার পর থেকে এ হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা বাড়তে বাড়তে গত মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪০১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তদের ৩২৬ জন রাজধানীর বাসিন্দা।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ১৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যুতে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৬ জনে।
মঙ্গলবার যিনি মারা গেছেন তার বাড়ি বরিশালে, তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২১৭ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮৪ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।