প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। অল্পদিনের মধ্যে চতুর্থ ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও সেই সাফল্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্তের হার। টানা আট দিন ধরে ক্রমবর্ধমান এই হার এখন ৯ ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরও বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫।
তার পর থেকে এ হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা আবারও ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। যা এখন বাড়তে বাড়তে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তদের ৩৫১ জন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা।
শনিবার করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। রোববার তা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
দেখা গেছে, এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে দশমিক ৩৬ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৩০৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। সংখ্যাটি অপরিবর্তিত আছে। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৯১ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।