আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। অল্পদিনের মধ্যে চতুর্থ ঢেউকে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হলেও সেই সুফল আবার বেহাত হচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্তের হার। টানা সাতদিন ধরে ক্রমবর্ধমান এই হার এখন ৯-এর কাছাকাছি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আরও বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫।
তার পর থেকে এ হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। কিন্তু গত সোমবার থেকে আবারও ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা এখন ৯ ছুঁই ছুঁই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তদের ২৬০ জন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা।
শনিবার করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ। শুক্রবার ছিল ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার তা ছিল ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। বুধবার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মঙ্গলবার ছিল ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। সোমবার এ হার ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর রোববার ছিল ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
দেখা গেছে, এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে দশমিক ২৫ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৪ হাজার ৮৮৭ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যুতে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৪ জনে।
মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির দুজনই পুরুষ। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই দুই ব্যক্তির বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। তাদের একজন ঢাকার ও অপরজন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৯২ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৬ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।