২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। এই সময়কালে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৬৮-এ এসে দাঁড়ালেও নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫।
তার পর থেকে এ হার ওঠানামা করলেও তা ৫ ছাড়ায়নি। কিন্তু গত বুধবার থেকে আবারও ৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে সোমবার স্বস্তির খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও পরিবর্তন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নতুন শনাক্তদের ২৭৫ জন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা।
এদিন শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। রোববার যা ছিল ৪ দমশিক ৯৩ শতাংশ, আর শনিবার তা ছিল ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৯৪ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩২৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৮৭ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৮ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।