টানা তিন দিন ধরে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে রয়েছে। সেই সঙ্গে তিন দিনই ঊর্ধ্বমুখী শনাক্তের হার। শেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৮।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যুর খবরও দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর গত ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫।
তার পর থেকে এ হার ওঠানামা করলেও তা ৫ ছাড়ায়নি। কিন্তু গত বুধবার থেকে আবারও ৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তিন দিন পার হলেও তা আর ৫-এর নিচে নামেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। নতুন শনাক্তদের ১৬৭ জন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা।
এদিন শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার যা ছিল ৫ দমশিক ৪৬ শতাংশ, বুধবার তা ছিল ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।
এক দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১২ হাজার ৩৭৬ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টা দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩২৬ জনে।
মারা যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি ঢাকার বাসিন্দা। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৫৯ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। তবে করোনার চতুর্থ ঢেউ সামলে ভাইরাসটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।