দেশে সন্তান জন্মদানে নরমাল ডেলিভারির হার ৬৯ শতাংশ এবং বাকি ৩১ শতাংশ সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, নরমাল ডেলিভারির হার বৃদ্ধি ও সিজারিয়ান সেকশন কমিয়ে আনতে ‘প্রমোশন অফ নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি, প্রিভেনশন অফ আননেসেসারি সিজারিয়ান সেকশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিং অ্যাওয়ারনেস অ্যাবাউট নেসেসিটি অ্যান্ড জাস্টিফিকেশন অফ ক্রিয়েশন সেকশন’ শীর্ষক সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন।
তিনি বলেন, ‘এই প্র্রকল্পের আওতায় নরমাল ডেলিভারির ইতিবাচক নিয়ে গর্ভবতী মায়েদের সঙ্গে আলোচনা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বিষয়ে তাদেরকে জানানো হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের প্রসব-পূর্ব সেবা নিশ্চিতকল্পে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মা সমাবেশ করা হচ্ছে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে এ পর্যন্ত (২২ আগস্ট) ৩২ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ৫০০ ডোজ টিকা আমদানি করা হয়েছে। একই সময় পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ৫৭৮ জনকে প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হজার ৭৪০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪ কোটি ২৭ হাজার ৬৯ হাজার ৭৭৭ জনকে তৃতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।