তিন মাস পর আবারও অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধে অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই তিন মাসে নিবন্ধন পায়নি এমন হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে অধিদপ্তর।
সোমবার থেকে শুরু হয়ে এক সপ্তাহ ধরে এই অভিযান চলবে।
রাজধানীর মহাখালীতে রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, ‘আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি কিংবা আবেদন করেও যারা নিবন্ধন পায়নি তারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনও ত্রুটিপূর্ণ।’
শুরুতে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলাদা করা হবে বলে জানান আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, ‘এরপরের অভিযানে যারা নিবন্ধিত হয়েছে, তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা দেখা হবে। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি, সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে এবং তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। যাতে মানুষ জানতে পারে কোন হাসপাতালের মান কেমন।’
এ ছাড়া অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে যদি নিবন্ধিত কোনো চিকিৎসক কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
গত মে মাসে সারা দেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কয়েক দিন ধরে চলা সেই অভিযানে ১ হাজার ৬৪১টি হাসপাতাল বন্ধ হয়েছে। এই অভিযানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।
এ ছাড়া এই তিন মাস সময়ে নতুন নিবন্ধিত হয়েছে ১ হাজার ৪৮৯টি, নবায়ন হয়েছে ২ হাজার ৯৩০টি। নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমাণ আছে ১ হাজার ৯৪৬টি। লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় আছে ২ হাজার ৮৮৭টি।
নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে দুই হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক।