করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখনও প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর আর দ্বিতীয় ডোজও পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজের জন্য আমাদের কাছে যে পরিমাণ টিকা সংরক্ষিত আছে, সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই যারা এখনও টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন।’
নিপসম অডিটোরিয়ামে রোববার বেলা ১২টায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যার ফলে আমরা করোনা সংক্রমণকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু এখনও অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়নি। তাদের জন্য বলতে চাই যে, দ্বিতীয় ডোজ না নিলে কিন্তু তারা বুস্টার ডোজও পাবে না। তাই যারা এখনও প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ নেননি, দ্রুততম সময়ে তাদের টিকা নেয়ার অনুরোধ করছি। না নিলে কিন্তু পরে আর খুঁজেও পাবেন না।’
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া শুরু ১১ আগস্ট থেকেকরোনা থেকে সুরক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ও মাধ্যমিকের শিশুদের টিকাদানের পাশাপাশি এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের তথা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এসব শিশুকে করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১১ আগস্ট পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কিছুদিন পর আগামী ২৬ আগস্ট পুরোদমে এসব শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে শিশুদের এই টিকা নিতে অভিভাবকদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার আহ্বান জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ১১ আগস্টে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু সময় নেব। কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ আগস্ট থেকে এই টিকা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে।